ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি আতঙ্ক ছড়িয়েছে এইচএমপিভি (HMPV)। করোনার মতোই এরও উৎপত্তিস্থল চীন। সে দেশে বহু মানুষ ফ্লু-এর মতো এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী ভারতে, এবং খাস কলকাতায় (Kolkata) এইচএমপিভি কেসের কথা শোনা গিয়েছে। ভয়াবহ অতিমারির (Pandemic) সময় পেরিয়ে এসেছি আমরা। আবার কি তেমন কিছু ঘটতে চলেছে? এইচএমপিভি ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক, কতটা সাবধান হওয়া উচিত আমাদের? কী বলছেন বিশেষজ্ঞেরা?
এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই পরিস্থিতি আর পাঁচ বছর আগে কোভিড-১৯ (Covid-19) এর প্রাথমিক পর্যায় এক নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এইচএমপিভি আসলে কী?
আরও পড়ুন: এবার আওয়ামী লীগের কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে চলেছেন শেখ হাসিনা
প্রথমত, এ হল সাধারণ ফ্লু-এর মতোই। এর পুরো কথা হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস। এই জীবাণু শ্বাসনালীর উপরদিকে সামান্য সংক্রমণ করে। স্পর্শের মাধ্যমে একজন থেকে আর একজনে ছড়ায় এটি। সাধারণ উপসর্গ হল কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ থাকা। ঠান্ডা লাগা এবং ফ্লুয়ের মতোই। তবে শিশু, বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের উপসর্গ মারাত্মক হতে পারে।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ভ্যাক্সিন ইমিউনোলজি বিভাগের অধ্যাপক জন ট্রেগোনিং জানিয়েছেন, বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় থাকা, কাশির সময় হাত দিয়ে মুখ ঢাকা, হাত ধোয়া, এই সবই সুরক্ষা দেবে। যাঁরা সংক্রামিত হয়েছেন তাঁদের বিশ্রাম এবং তরল খাদ্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ট্রেগোনিং।
কোভিডের সঙ্গে এইচএমপিভি-র পার্থক্য কী?
কোভিড-১৯ অতিমারির সৃষ্টি করা করোনাভাইরাস যখন মানবদেহে পাওয়া গেল তার সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কিছু জানতেন না। মানবদেহ এই জীবাণুকে প্রতিরোধ করতে পারেনি ফলে মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে এইচএমপিভি কয়েক দশক ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং পৃথিবী জুড়ে মানুষ এর জন্য সুরক্ষার উপায় ঝুঁজে নিয়েছে। ট্রেগোনিং জানান, শীতকালে যে সমস্ত জীবাণুর ককটেল আমাদের আক্রমণ করে তাদেরই একটা হল এই এইচএমপিভি।
দেখুন অন্য খবর: