ওয়েব ডেস্ক: হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশত্যাগের ছ’মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অশান্তির আগুন নেভেনি বাংলাদেশে (Bangladesh)। এখনও চলছে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, মারামারি, খুনোখুনি। সম্প্রতি হাসিনার একটি ভার্চুয়াল ভাষণের জেরে দেশজুড়ে নতুন করে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে, ধানমন্ডিতে (Dhanmondi Incident) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে ভাঙচুর এবং গাজীপুরে হিংসার ঘটনা (Gazipur Incident) ঘটেছে। আর এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। ইউনুস (Mohammed Yunus) সরকারের নির্দেশে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ (Operation Devil Hunt)।
বাংলাদেশ পুলিশের এই বিশেষ অভিযানে ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে। শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামক অভিযানে মোট ১,৩০৮ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের সদর দফতর। শুধুমাত্র গাজীপুর থেকেই অন্তত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশের দাবি, ধৃতরা সকলেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগের সমর্থক। গাজীপুরের পুলিশ সুপার এই বিষয়ে বলেন, “আটক ব্যক্তিরা ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছিল।”
আরও পড়ুন: ৩২ নম্বর ধানমন্ডি কাণ্ডে নয়াদিল্লিকে পাল্টা তোপ বাংলাদেশের
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অশান্তির সূত্রপাত হয় ধানমন্ডিতে। শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনে হামলার চালায় একদল বিক্ষোভকারী। এর জেরে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামি লিগের নেতাদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর শুরু হয় বলে খবর। পাশাপাশি, দেশের একাধিক এলাকায়য় জনতা ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
গাজীপুরের এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার রাস্তায় নামেন। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার দায়িত্বে গাফিলতির কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেখুন আরও খবর: