ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ ১৭ বছরের ‘নির্বাসন’ কাটিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরছেন বিএনপির (BNP) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman)। সব কিছু ঠিক থাকলে বড়দিন, অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে ঢাকায় পা রাখবেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির শুক্রবার রাতে একথা জানিয়েছেন। এই ঘোষণার পর থেকেই বিএনপি শিবিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে।
দলীয় সূত্রের দাবি, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিমানবন্দর থেকে শুরু গুলশান ও বনানী পর্যন্ত বিরাট জনসমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিএনপি কর্মীদের আশা, দীর্ঘদিন পর তারেকের দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলতে চলেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, “যেদিন তারেক রহমান বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন সারা বাংলাদেশ কেঁপে উঠবে। দেশের রাজনৈতিক চেহারা বদলে যাবে।”
আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানে পড়ানো হবে গীতা-মহাভারত!
বাংলাদেশে ফেরার পর তারেক রহমানের নিরাপত্তার জন্য বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত চেয়ারপার্সন সিকিউরিটি ফোর্সকে পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং এতে সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে সিএসএফের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম। পাশাপাশি, সরকারের পক্ষ থেকেও তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে আগে থেকেই আলোচনা চলছিল যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে পারে বিএনপি। তাঁর দেশে ফেরার খবরে সেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে নির্বাচনী রাজনীতি আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।
দেখুন আরও খবর:







