ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ফের তীব্র হচ্ছে বারুদের গন্ধ। নবম দিনেও লাগাতার বাড়ছে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের (Israel-Iran War) ঝাঁঝ। ইতিমধ্যে ইরানের পাশাপাশি লেবাননেও (Lebanon) হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। অর্থাৎ, দিন দিন পরিসরে বৃহত্তর হচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার এই সংঘাত। এই অবস্থায় উদ্বেগ বাড়ছে তুরস্কেও (Turkey)। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরান এবং লেবাননের পর এবার তুরস্কের বুকেও হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল। তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত হচ্ছে দেশটি।
ইজরায়েলের সাম্প্রতিক ইরান হামলার আগে একদিন, তেল আভিভে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মাইলিকে স্বাগত জানিয়ে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন, “আর্জেন্টিনা এক সময় হাজার হাজার ইহুদির জন্য আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল, যারা ইউরোপ ও অটোমান সাম্রাজ্যের নির্যাতন ও দারিদ্র্যের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছিল।” একইসঙ্গে তিনি ঠাট্টার সুরে বলেন, “আর একটা দেশের পুনরুত্থান নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। আমি কিন্তু সেরকমটা মনে করি না।” এই মন্তব্য যে সরাসরি তুরস্ককেই ইঙ্গিত করে, তা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চীন, কী নিয়ে আলোচনা?
এদিকে বিগত এক দশকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছে তুরস্ক। কারণ ইজরায়েল যখন ইরানে হামলার পরিকল্পনা করে, তখন অল্প কিছু মার্কিন মিত্র দেশকে জানানো হয়। সেই তালিকায় ছিল তুরস্কের নামও। তবে ইজরায়েলি হামলার ভয়াবহতা দেখে স্তম্ভিত তুরস্কের নাগরিকরা। এর মধ্যে আবার রাতের অন্ধকারে ইজরায়েলি F-35 যুদ্ধবিমান তুরস্কের রাডারে ধরা পড়ে। এর পরেই তুরস্ক পাল্টা F-16 ও AWACS বিমান মোতায়েন করে। অর্থাৎ, ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের মাঝে সামরিক প্রস্তুতি শুরু করেছে তুরস্কও।
এদিকে আবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাআ এবং ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করেন করেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে, আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে তুরস্ক।
যদিও ইজরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্ক আজকের নয়। ১৯৪৯ সালে তুরস্ক প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ২০১০ সালে গাজা উপর চালানো ইজরায়েলি হামলায় ১০ জন তুরস্কের নাগরিকের মৃত্যুর পর ফের অবনতি হয় সম্পর্কের, যা ২০২৩-এ গিয়ে আরও তলানিতে ঠেকে।
দেখুন আরও খবর: