ওয়েব ডেস্ক: ট্রাম্প প্রশাসনের (US Government) নতুন নীতিতে ভয়ে কাঁটা বাংলাদেশিরাও (Bangladeshi)। কারণ আমেরিকায় (USA) ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। দেশের অন্দরে যে বা যারা অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাঁদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে মরিয়া ট্রাম্পের দেশের পুলিশ (US Police)। অর্থাৎ, আমেরিকায় থাকার জন্য বৈধ কোনও নথি দেখাতে না পারলেই নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে সেই নাগরিককে। ইতিমধ্যে ৫০০-র বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই এবার আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও এখন চিন্তায়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই অবৈধ অভিবাসীদের দমন ও বহিষ্কার বেশ কিছু বড় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসন (Illegal Immigration) রুখতে একাধিক কার্যকর নীতির বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ওভাল অফিসে বসেই একাধিক নির্দেশনামায় সই করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তারপর থেকেই দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে মার্কিন পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিদেশি অনুদান বন্ধ করল ট্রাম্প সরকার, টাকা পাবে শুধু ২ দেশ
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টন, আটলান্টা, মিয়ামি সহ একাধিক শহরে অভিযান চালিয়ে মোট ৫৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে সন্দেহভাজন জঙ্গি, গুণ্ডা গ্যাংয়ের সদস্য, এবং শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তরা রয়েছেন।
?DAILY IMMIGRATION ENFORCEMENT REPORTING FROM ICE?
538 Total Arrests
373 Detainers Lodged
Examples of the criminals arrested below ???
— The White House (@WhiteHouse) January 24, 2025
ক্যারোলিন লিভিট আরও বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন গত তিন দিনে শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। সামরিক বিমানে তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আসলে ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ঘটছে।” তিনি আরও জানান, “আমরা ইতিহাসের বৃহত্তম নির্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে এটি আমাদের আরও বড় পদক্ষেপের একটি ছোট নমুনা মাত্র।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার স্কুল, গির্জার মতো সংবেদনশীল এলাকাগুলিতেও অভিযান চালিয়েছে অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা। ২০১১ সালে এইসব এলাকায় অভিযান না চালানোর নীতি চালু করেছিল তৎকালীন প্রশাসন। বাইডেন প্রশাসনও একই নীতি অব্যাহত রেখেছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এইসব সংবেদনশীল এলাকাগুলিতেও অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে গ্রিন সিগন্যাল দেয়।
দেখুন আরও খবর: