ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষকদের হাতে থাকুক বেত। কর্মরত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা (Criminal Case) শুরুর আগে বাধ্যতামূলক (Compulsory) তদন্তের নির্দেশ। একই সঙ্গে ওই অভিমত কেরল হাইকোর্টের (Kerala High Court)। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হওয়া কোনও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ নথিবদ্ধ করার আগে পুলিশকে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে। এমনই নির্দেশ বিচারপতি কুনহিকৃষ্ণণের। বিদ্বেষ ছাড়া কোনও শিক্ষার্থীকে ছোটখাটো সাজা দেওয়ার জন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ থাকা প্রয়োজন। অভিমতসহ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এক মাসের মধ্যে এই মর্মে নির্দেশিকা জারির নির্দেশ।
চড়-চাঁটি মারা বা একটু ঠেলে দেওয়া বা খোঁচা দেওয়ার জন্য হামেশাই শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকরা মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। না হলে শিক্ষকরা আপন দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তাই শিক্ষার্থী বা তার অভিভাবক ফৌজদারি অভিযোগ আনলে তার প্রাথমিক তদন্ত না করে কোনও পদক্ষেপ পুলিশ করতে পারবে না। মন্তব্য আদালতের।
আরও পড়ুন: কম খরচে ক্যানসারের চিকিৎসা! যুগান্তকারী সাফল্য পেল ভারত
তিন বছর বা তার বেশি এবং সাত বছরের কম সাজা হতে পারে এমন অভিযোগে মামলা রুজু করার মতো কিছু ঘটনা ঘটেছে কি না, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখতে পারে বলে বিএনএসএস এর ১৭৩(৩) ধারায় বলা আছে। এই বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়াই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে পুলিশকে করতে হবে। এই প্রাথমিক তদন্ত চলাকালীন সেই শিক্ষককে প্রয়োজন হলে একটি নোটিস দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু গ্রেপ্তার করা যাবে না। জানিয়েছে আদালত।
দেখুন অন্য খবর: