ওয়েব ডেস্ক: দূরত্ব ২ হাজার কিলোমিটারের। ব্যবধান ৭২ ঘণ্টার। কর্নাটকের (Karnataka) পরে এবার কলকাতা (Kolkata)। বাড়িতে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের রহস্যমৃত্যুর (Mystery Death) ঘটনা। দুটি ঘটনাতেই শরীরে রাসায়নিক প্রয়োগ করার ঘটনা ঘটেছে। দুটি ঘটনাতেই আর্থিক বিষয়ই মৃত্যুর কারণ বলে পুলিশের (Police) প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। সোমবার কর্নাটকের মাইসুরুতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার হয়। একই পরিবারের সদস্যদের ওই মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা জাতীয়স্তরের সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেয়। তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার কলকাতার ট্যাংরায় একটি বাড়ি থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। হাড়হিম করা ওই ঘটনার পরতে পরতে রহস্য।
কর্নাটকের ঘটনায় মাইসুরু পুলিশ জানায়, সোমবার বিশ্বেশ্বরাইয়া নগর এলাকার আবাসন থেকে চারজনের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের তদন্তে পুলিশের অনুমান, এক ব্যক্তি তাঁর মা, স্ত্রী ও পুত্রকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে লেখা ছিল, ওই মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা যাবে না। আর্থিক চাপের কথাও লেখা ছিল। বিষ খাইযে খুন করা হয়। তারপর ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। তবে বুধবার দুপুরে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এদিন সকালে ট্যাংরার শীল লেনে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। এক্ষেত্রেও প্রাথমিক তদন্তে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার তত্ত্ব উঠে এসেছে। মাইসুরুর ঘটনায় আত্মঘাতী হওয়ার আগে ওই ঘাতক ব্যক্তি আমেরিকায় থাকা ভাইকে ফোন করে সপরিবারে আত্মহত্যা করতে চলেছেন বলে জানান। সেখান থেকেই পুলিশে খবর যায়। কলকাতার ঘটনায় ইএমবাইপাসে অভিষিক্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন তিনজন। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁদের কাছ থেকেই ট্যাংরার বাড়িতে তিনজনের মৃতদেহের কথা জানতে পারে। তাঁদের দাবি, ওই তিনজন আত্মহত্যা করেছেন। তাঁরাও গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাড়ির চার তলা থেকে আলাদা আলাদা ঘর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ঘটনায় আটক দুই ভাই।
আরও পড়ুন: ট্যাংরায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু, আত্মহত্যা না কি খুন?
দেখুন অন্য খবর: