ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে চিকিৎসার জন্য অনেকেই ভারতে আসেন। কলকাতা সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তার দেখান। বিক্ষোভের (Agitation) জেরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ অগাস্ট ভারতে পালিয়ে আসার পর ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপোড়েন হয়। সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বাড়ে। এই প্রেক্ষিতে ভিসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি হয়েছে দুদেশেই। তবে মেডিক্যাল ভিসা (Medical Visa) চালু রয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে রোগীর (Patinet) পরিবারের লোক সেজে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা এদেশে ঢুকছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা এদেশে আশ্রয় নিয়েছেন কি না তার খোঁজ চালাচ্ছেন তাঁরা। কূটনৈতিক স্তরে ইতিমধ্যে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
গত ৫ অগাস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার একাংশের বিক্ষোভের জেরে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। তারপর আওয়ামি লিগের অনেক নেতা নেত্রীই দেশ ছাড়েন। বাংলাদেশে হাসিনার দলের নেতাদের নামে একের পর এক মামলা হয়। বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েক মাস পর হাসিনা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বক্তৃতা দিচ্ছেন। তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হাসিনা বিরোধীরা। উদ্বেগে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারও। এই সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু মজিবর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবছরের শেষে ডিসেম্বরে অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন করানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউনুস। সেই অবস্থায় আওয়ামি লিগকে কোনওভাবে সক্রিয় হতে দিতে চায় না জামাত সহ হাসিনা বিরোধীরা। অভিযোগ এই জামাত ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরাই ইউনুস সরকারের নিয়ন্ত্রক। তাই আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতাদের খোঁজ পেতে মরিয়া ইউনুসের গোয়েন্দারা। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ এই সময়ে বেড়েছে। তারা এদেশে জাল আধার, পাসপোর্ট তৈরি থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত। পুলিশ গ্রেফতার করার পর এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনিতে ইউনুসের আমলে অপরাধীদের অনেককে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় সতর্ক বিএসএফ। রিপোর্ট, এবার আইনি পথে বাংলাদেশের গোয়েন্দার ‘অনুপ্রবেশ’ করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনকারীদের নতুন রাজনৈতিক দলে সাড়া নেই
দেখুন অন্য খবর: