কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) ঘটনায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই (Partha Chatterjee) মূলচক্রী, বৃহস্পতিবার আদালতে এই গুরুতর অভিযোগ তুলল সিবিআই (CBI)। এদিন আদালতে পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, তাঁর নির্দেশেই নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর শিট। পাশাপাশি, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তাই সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ জামিন পেলে এই মামলার তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে।
২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে ইডি (ED) এবং পরে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকলেও, ইডির মামলায় গত ডিসেম্বরে জামিন পান তিনি। তবে সিবিআইয়ের মামলায় এখনও তিনি জেলবন্দি। সেই কারণে করা হয়েছিল জামিনের আবেদন। বৃহস্পতিবার পার্থর জামিনের শুনানিতে সিবিআই-এর দাবি, পার্থর নির্দেশেই নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল, যাতে বেআইনি নিয়োগের সমস্ত প্রমাণ মুছে ফেলা যায়।
আরও পড়ুন: কলকাতায় অপরাধ দমনে সতর্ক লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসছে আরও CCTV
এদিন আদালতে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরে সিবিআই। সংস্থার আইনজীবীরা জানান, বিকাশ ভবনের ওয়্যারহাউস থেকে উদ্ধার হওয়া ৩২১ জন প্রার্থীর তালিকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে লেনদেন হয়েছিল। এই তালিকায় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নামও রয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, গোটা নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনাটি পার্থর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছিল।
সিবিআই আদালতে স্পষ্ট জানায়, এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। বিশেষ করে, দুর্নীতিতে যুক্ত অন্যান্য রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। তাই তাঁকে আপাতত জামিন না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে সিবিআই।
দেখুন আরও খবর: