কলকাতা: কলকাতার (Kolkata) আমেরিকান দূতাবাসের (US Embassy) সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস (Congress)। সম্প্রতি মার্কিন মুলুকে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের ভারতে প্রত্যর্পণ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সরকার। কিন্তু সেই প্রত্যর্পণ করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, ভারতীয়দের হাতেপায়ে হাতকড়া শিকল বেঁধে বিমানে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে দেশের শাসকদলের চুপ থাকা নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। দাহ করা হল নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল।
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি শুভঙ্কর সরকার (Shubhankar Sarkar) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানালেন, আমরা মনে করি যেভাবে হাতেপায়ে কড়া এবং শিকল পরিয়ে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাতে মানবিকতা লঙ্ঘিত হওয়ার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে দেশের অপমান হয়েছে। অথচ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রোটোকলের বাইরে গিয়ে ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছেন সেই নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই লজ্জাজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ঘটনার পরে একেবারে নিশ্চুপ কেন?
আরও পড়ুন: কারণ না দর্শিয়ে গ্রেফতারি অবৈধ, সংবিধান লঙ্ঘনে অবশ্যই জামিন: সুপ্রিম কোর্ট
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেখানে কলম্বিয়ার মতো দেশ আমেরিকার মুখের উপর জানিয়ে দিতে পারে যে, তাঁরা তাঁদের দেশের নাগরিকদের জাহাজ পাঠিয়ে নিজেরাই ফিরিয়ে আনবেন, সেখানে এই চরম বর্বর এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ঘটনার পরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী কিংবা বিদেশ মন্ত্রক, কোনও পক্ষ থেকেই একটা প্রতিবাদ যে হল না কেবল তা নয়, আমেরিকার সঙ্গে কোনওরকম কূটনৈতিক দৌত্যও এখনও পর্যন্ত চালানো হলো না। মোদি সরকারের এই আমেরিকা-ভীতির কারণ কী?
বিজেপি বার বার পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা বলে। কিন্তু আমেরিকা থেকে যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের অধিকাংশ মানুষই বিজেপি শাসিত গুজরাট রাজ্যের মানুষ। একথা আজ আবার প্রমাণিত হল, দেশে কংগ্রেসের সরকার না থাকলে দেশের সম্মান বারবার নষ্ট হয়, আর যিনি স্বঘোষিত ‘বিশ্বগুরু” তাঁর আমলে নীরব দর্শক হয়ে দেশের অপমান সহ্য করতে হয় আমাদের।
দেখুন অন্য খবর: