কলকাতা: লন্ডন সফর (london Visit) থেকে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কলকাতার মাটিতে পা রাখলেন তিনি। এই কয়েকদিনে সেখানে তিনি একাধিক কর্মসূচি সেরেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজের (Kellogg College, University of Oxford) আমন্ত্রণেই এই সফর ছিল তার। এবার কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী ইদের (Eid) কর্মসূচিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।
প্রতি বছরই রেড রোজে ইদের নামাজ -এর অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছরও তার অন্যথা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইদ ছাড়াও দুর্গাপুজো থেকে ২৫ ডিসেম্বর তাকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। বিরোধীদের শত উপেক্ষা, হাসি কটাক্ষকে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। হয়তো এই জন্যই তিনি জননেত্রী। সব মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে তার মধ্যে। কখনও তাকে প্রচারে বেরিয়ে রাস্তার চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চা বানাতে আবার কখনও তাঁকে দার্জিলিংয়ে মোমোর দোকানে নিয়ে পাহাড়ি মেয়েদের সঙ্গে মোমো তৈরি করতে আবার কখনও পাহাড়ের কোলে চা বাগানে চা পাতা তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। বিরোধীদের কটাক্ষকে এক লহমায় উড়িয়ে দিয়ে নিজের কাজ করে গেছেন তিনি। তাই লন্ডনে অক্সফোর্ডে ভাষণ দেওয়ার সময়েও টাটা, সিঙ্গুর, আরজিকর একাধিক প্রশ্ন তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: ইদের দিন মেট্রোর সূচিতে রদবদল, জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
কিন্তু সাবলীল ভাবে নিজেকে সংযত রেখে উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এটি রাজনৈতিক মঞ্চ নয়, সেই সম্মান বজায় রাখার জন্য। বক্তৃতা সময় বাংলাকে যে তিনি কত ভালোবাসেন সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বার বার তাঁর বক্তব্যের মধ্যে ধরা পড়েছে কলকাতার ঐতিহ্য, গৌরব গাঁথা, ঋষি, মনীষি থেকে বুদ্ধিজীবীদের কথা। সেইসঙ্গে উঠে এসেছে তাঁর জীবন সংগ্রাম থেকে সারাদিনের একনাগাড়ে, একটানা কাজ করে যাওয়ার প্রশ্ন। সব কিছু প্রশ্নই সংযত থেকে আবার কখনও মজার ছলে উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার কখনও উঠে এসে তাঁর দলের নাম মা-মাটি-মানুষ কেনো। এই নামের অর্থ কি, কিভাবে সেই প্রতিটি শব্দের সঙ্গে তিনি মিশিয়ে দিয়েছেন বাংলার মানুষের আবেগ, ভালোবাসাকে।
কলকাতায় নামার পর বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ধরে রওনা হয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ বিমানযাত্রার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আর কথাবার্তা বলেননি। তবে ফেরার পথে সফরসঙ্গীদের জানিয়েছেন, এ বারের সফরে তিনি সন্তুষ্ট জানিয়েছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় লন্ডন সফরে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আট দিনের মাথায় ফিরলেন তিনি। আসা-যাওয়া নিয়ে দুদিন বাদ দিলে, মোট তাঁর ছ’দিনের সফর ছিল।
ভারতীয় হাই কমিশনের আমন্ত্রণ সহ ছিল বাণিজ্য সম্মেলন, আলাদা আলাদা বাণিজ্য বৈঠক, অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে ভাষণ। বিরোধীদের কটাক্ষকে উপেক্ষা করে শান্তভাবে উত্তর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলার প্রতি ভালোবাসা আর রাজ্যে শিল্প আনার প্রত্যাশা দেখা গেছে।
দেখুন অন্য খবর-