ওয়েব ডেস্ক: জ্বালা পোড়া গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ, অন্যদিকে অতিবৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ (North Bengal Heavy Rain)। অতিবৃষ্টির আশঙ্কায় উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা এবং সিকিমের মঙ্গনে লাল সতর্কতা (Sikkim Red Alert) জারি করল আবহাওয়া দফতর। অতিবৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে উত্তরবঙ্গের বহু নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধস এবং হড়পা বানে বিগত কয়েকদিনে বিপর্যস্ত গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত (North East India)। অসম, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে অতিবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। ইতিমধ্যেই চুংথাং এলাকায় রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে পড়েছে। লাচুংয়ে আটকে পড়েছেন কয়েকশো পর্যটক। ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া। পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্ধারকাজে নেমেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Army) এবং অসম রাইফেলস (Assam Rifles)।
সিকিমের (Sikkim) জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে। বিশেষ করে নর্থ সিকিম বা উত্তর সিকিমে পরিস্থিতি ভয়াবহ। প্রবল বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের বেশিরভাগ প্রান্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে কারণ সড়কপথে ধস নেমেছে। তিস্তার জলস্তরও ক্রমশ বাড়ছে। খুব শীঘ্রই তা বিপদসীমা পেরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। তিস্তা সংলগ্ন বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবেছে প্রশাসন। দেড় হাজারের বেশি পর্যটক আটকে রয়েছেন। আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ চলছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত লাচেনে ১১৫ জন এবং লাচুংয়ে প্রায় ১৩৫০ জন পর্যটক আটকে রয়েছেন। মঙ্গন জেলার পুলিশ সুপার সোনম দেতচু ভুটিয়া জানিয়েছেন, ধসের কারণে লাচেন ও লাচুং-এর দিকে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাঁকোলাং সেতু ভেঙে যাওয়ায় মূল সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসনের তরফ থেকে সব পর্যটককে হোটেলে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বহু পর্যটকও রয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন: উত্তরে বৃষ্টি, দক্ষিণে ভ্যাপসা গরম!
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর সিকিম ও সংলগ্ন এলাকায় আরও বৃষ্টি হতে পারে, ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। সিকিম থেকে শিলিগুড়ি নামার জন্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য শিলিগুড়ি নামার বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেবক হয়ে ডুয়ার্স, শিলিগুড়ি থেকে সেবক হয়ে ডুয়ার্সের রাস্তা দিয়ে যেতে পারেন। আলগাড়া-লাভা পথ, এই পথটি শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত, এবং এটি একটি বিকল্প রাস্তা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও দার্জিলিং হয়ে কালিম্পং, দার্জিলিং, পানবু এবং কালিম্পং হয়েও সিকিমে যাওয়া যায়। তবে এই রাস্তাটি একটু দীর্ঘ এবং সময় সাপেক্ষ। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার জন্য একটি নতুন বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে, যা ৭১৪ জাতীয় সড়ক নামে পরিচিত। এই রাস্তাটি তৈরি হলে আরও সহজে এবং দ্রুত সিকিম থেকে শিলিগুড়ি যাওয়া যাবে।
অন্য় খবর দেখুন