ওয়েব ডেস্ক: পুজোর চারদিনই ভুরিভোজে ডুবে থাকে বাঙালি। ব্রেকফাস্টে (Breakfast) গরম গরম লুচি থেকে ডিনারে কবজি ডুবিয়ে মটন (Mutton), লোভনীয় সব পদে জমজমাট হয়ে ওঠে পুজোর দিনগুলি। পুজোর আর মোটে কয়েকদিন! বাঙালি বাড়িতে পুজো পার্বণের দিনে অতিথি আগমন তো চেনা ছবি। ডিনারে না হয় বাইরের রসনাদার খাবারে প্লেট সাজাবেন। কিন্তু দুপুরে? চিন্তা নেই! উৎসবের মরশুমে ঠাকুরবাড়ির পদই রেঁধে খাওয়ান অতিথিদের। বানিয়ে ফেলুন ভিন্ন স্বাদের রুই আদা (Rohu Ginger)! বাঙালি বাড়িতে রুই তো প্রায় রোজই পাতে পরে। ঝোল থেকে কালিয়া এই স্বাদগুলো তো চেনা। স্বাদে হালকা বদল আনতে উৎসবের একটা দুপুর জমিয়ে ফেলুন রুই আদা (Rohu Ginger) রেঁধে! অতিথিরা সুখ্যাতি করবেই।
কী কী উপকরণ লাগবে?
রুই আদা তৈরি করতে লাগবে ৫ টুকরো রুই মাছ, কিছুটা পেঁয়াজ কুঁচি, কয়েক টুকরো আলু, মাঝারি করে কাটা বেগুন, সর্ষের তেল, তেজপাতা, চিনি, নুন, ঘি, অল্প আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, অল্প ধনে বাটা, কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা।
আরও পড়ুন: পুজোয় নিরামিষ মেনু চাই! দেখুন একগুচ্ছ রেসিপি
পদ্ধতি:
ঠাকুরবাড়ির এই মাছের পদ তৈরি করতে প্রথমে টুকরো করে রুই মাছের পিসগুলো পরিস্কার করে ধুয়ে অল্প নুন, অল্প হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। এরপর কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে মাছগুলো ভেজে তুলে নিন। ভাজা মাছ গুলোর কাঁটা ছাড়িয়ে নিন। এবার ওই তেলেই কুঁচিয়ে রাখা পেঁয়াজ নরম করে ভেজে নিয়ে টুকরো করে রাখা আলু ভেজে নিন। আলু হালকা নরম হয়ে আসলে বেগুনের টুকরোগুলো দিয়ে দিন।
সব সবজি ভাজা হয়ে আসলে সামান্য হলুদ, সামান্য লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, অল্প ধনে বাটা দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল বেরিয়ে এলে তাতে কাঁটা ছাড়িয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিন। সামান্য জল ছিটিয়ে ছিটিয়ে মশলা কষিয়ে নিন।
অন্য একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা ও আদা বাটা ফোড়ন দিয়ে দিন। এবার গরম ফোড়নটা কষানো মাছের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। আদার কাঁচা গন্ধ যেন না থাকে। ব্যস কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে মাখামাখা রুই আদা নামিয়ে নিন। আর কী? গরম ভাতে পরিবেশন করুন ঠাকুরবাড়ির এই মাছের পদ।
দেখুন অন্য খবর