ওয়েব ডেস্ক: বাঘ সংরক্ষণ (Tiger Reserve) নিয়ে কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কি বাঘের মৃত্যু (Tiger Death) আটকানো যাচ্ছে? এই প্রশ্নকে আরও জোরালো করে তুলল কর্নাটকের (Karnataka) একটি ঘটনা। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যের চামনগরের এমএম হিলস অভয়ারণ্যে (Male Mahadeshwara Wildlife Sanctuary) এক দিনে পাঁচটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, একইসঙ্গে এক বাঘিনী এবং চার শাবক মারা গিয়েছে। একসঙ্গে এতগুলি বাঘের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বন দফতর ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘগুলির মৃতদেহের পাশে একটি মৃত গরুও পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষ মেশানো গরুর মাংস খাওয়ার ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে বাঘগুলির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে এই আশঙ্কার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক শকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। কর্নাটকের বনমন্ত্রী ঈশ্বর খাদ্রে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বনকর্মীদের কোনো গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পুত্রবধূকে ধর্ষণ ও খুন করে দেহ লোপাট! ভয়ঙ্কর স্বীকারোক্তি শ্বশুরের
তবে এই ঘটনার পরই যে নড়েচড়ে বসেছে কর্নাটক সরকারের বন দফতর, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই এই জঙ্গলে চোরা শিকারিদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কড়া করা হয়েছে নজরদারি, বাড়ানো হয়েছে টহলদারি। ড্রোনের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কর্নাটকের এই অভয়ারণ্য অঞ্চলে প্রায় ৫৬৩টি বাঘ রয়েছে, যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক। বান্দিপুর, নাগরহোল ও বিআরটি টাইগার রিজার্ভের মতো এলাকাগুলি এতদিন পর্যন্ত বাঘের নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এই ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল।
দেখুন আরও খবর: