নয়াদিল্লি: বিশেষ চাহিদাযুক্ত শিশুদের জন্য অনুমোদিত শিক্ষক পদের সংখ্যা ঘোষণা করতে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নির্দেশিকা প্রকাশের পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতেও নির্দেশ দেওয়া হল। যে শিক্ষকরা অস্থায়ীভাবে (গড়পরতা ১৫ থেকে ২০ বছর) এই কাজ করছেন, তাঁদের যোগ্যতা যাচাই করে নিয়মিতকরণের জন্য পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া (Justice Sudhangshu Dhuliya) ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের (Justice K Vinod Chandran)।
যেসব শিশুর কিছু ধরনের অক্ষমতা রয়েছে, তাদের ব্যতিক্রমী যত্ন এবং অতিরিক্ত সাহায্যের প্রয়োজন। এই শিশুদের চাহিদা তাদের প্রতিবন্ধকতার প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। যাদের ঘনঘন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, হাসপাতালে থাকা, বিশেষ সরঞ্জামের ব্যবহার প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগ করে তোলাবাজি! ফাঁসল মহিলা ও আইনজীবী
মূলত শারীরিক, ইন্দ্রিয়গত, উন্নয়নমূলক এবং আচরণগত বা আবেগগত সমস্যা তাদের থাকে। উদাহরণস্বরূপ পেশির সমস্যা, মৃগিরোগ, সেরিব্রাল পলসি, লোকোমোটর ডিজেবিলিটি, বধিরতা, কম শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ইত্যাদি এদের থাকে। আর সেই কারণে তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে রজনীশ কুমার পাণ্ডে বনাম ভারত সরকারের মামলায় আদালত এই প্রসঙ্গে রায় দেওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতির বিশেষ বদল হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্যে এমন কত শিক্ষক পদের প্রয়োজন, তা দেশের সিংহভাগ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এখনও চিহ্নিত করা হয়নি। এমন শিশুদের বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত কেন্দ্রকে জানাতে বলেছিল আদালত। কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অনুপাতটি ওয়ান ১:১০ এবং মধ্যবর্তী ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় গুলিতে ১:১৫।
এমন শিক্ষকদের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ঘোষণার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। পদ অনুমোদন করে নির্দেশিকা প্রকাশ করতে হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে।
দেখুন অন্য খবর: