ওয়েব ডেস্ক: সত্য গোপন করা বা মিথ্যা সাক্ষ্য (False Witness) দেওয়ার ঘটনায় এবার কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, খুনের মামলায় সাক্ষীরা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অসত্য বক্তব্য দেন বা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেন, তবে ট্রায়াল কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
২০১৯ সালের এপ্রিলে দিল্লির বিজেন্দ্র সিং হত্যাকাণ্ডের মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানউল্লাহ এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ারের বেঞ্চ। মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেছিল, যা চ্যালেঞ্জ করে মৃতের পরিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আবেদনকারীর দাবি ছিল, অভিযুক্তদের জামিন বাতিল করা হোক, কারণ তারা সাক্ষীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে গ্রেফতার সাইবার প্রতারণা চক্রের মূলচক্রী!
আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী বিপিন সাংঘী আদালতে বলেন, “অভিযুক্তদের জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর একাধিক রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী বিরোধিতা করেছেন। সাক্ষীদের ভয় দেখানোর অভিযোগে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।”
সরকারি আইনজীবী মুক্তা গুপ্ত জানান, “বেশিরভাগ ব্যক্তিগত সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখন কেবল সরকারি সাক্ষী—দু’জন ডাক্তার ও ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি।”
এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানউল্লাহ নির্দেশ দেন, “বাকি সাক্ষ্যগ্রহণ যেন কোনওভাবেই প্রভাবিত বা আতঙ্কিত না হয়ে সম্পন্ন হয়। প্রয়োজনে পুলিশি সুরক্ষা দিতে হবে।” একই সঙ্গে আদালত জানায়, “যদি দেখা যায় কোনও সাক্ষী আদালতে সত্য কথা না বলে পক্ষ নেন বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন, ট্রায়াল কোর্ট তা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নথিভুক্ত করবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”
দেখুন আরও খবর: