নয়াদিল্লি: মণিপুরে (Manipur) জাতিগত হিংসায় কি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং (CM Biren Singh) জড়িত? সম্প্রতি একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছে যা সেই দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করছে। ‘ট্রুথ ল্যাব’ (Truth Lab) নামক এক বেসরকারি সংস্থাকে ওই ক্লিপের সত্যতা যাচাই করতে দেওয়া হয়েছিল। তাদের রিপোর্ট বলছে, বীরেন সিংয়ের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বরের ৯৩ শতাংশ মিল পাওয়া গিয়েছে।
এই রিপোর্ট সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিকে (FSL) সেই অডিও টেপের সত্যাসত্য যাচাই করে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত অডিও টেপ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কুকি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস ট্রাস্ট। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Chief Justice Sanjiv Khanna) এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। ২৪ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে মামলা ফেরানোর আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্যাতিতার পরিবার
২০২৩ সালের ৩ মে জাতিগত হিংসা মাথাচাড়া দেয় উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে। অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা এবং কোটা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় দুই গোষ্ঠী মেইতেই (Meitei) এবং কুকিদের (Kuki) মধ্যে। সেই দ্বন্দ্ব আজও থামেনি। হিংসার কবলে ৩০০-র উপরে মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, গৃহহীন হয়েছেন হাজার হাজার।
সোমবার শুনানিতে কুকিদের সংগঠনের তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ (Prashant Bhushan) বলেন, দেশের একমাত্র নিরপেক্ষ ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাব ট্রুথ ল্যাবে ওই অডিও ক্লিপ পরীক্ষা করিয়েছেন তাঁরা। সেই ল্যাবের রিপোর্ট বলছে, মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে ৯৩ শতাংশ মিল রয়েছে ক্লিপটিতে।
আইনজীবী আরও বলেন, “ওই ক্লিপ রেকর্ড হয়েছিল রুদ্ধদ্বার বৈঠকের সময়। তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে যে তিনি মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকজনদের গ্রেফতার হওয়া থেকে বাঁচাবেন এবং তাদের রাজ্যের অস্ত্রাগার থেকে চুরি করতেও দিয়েছেন।” আইনজীবী আরও জানান, ট্রুথ ল্যাবের রিপোর্ট যে কোনও সরকারি এজেন্সির থেকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য।
দেখুন অন্য খবর: