ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে চাকরিহারা ২৬,০০০ শিক্ষক শিক্ষকারা। যার জেরে শহর থেকে জেলার স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের ঘারতির দেখা মিলেছে। কোথাও দেখা গিয়েছে দুজন শিক্ষক মিলেই চালাচ্ছে গোটা একটা স্কুল (School)। আবার কোথাও দেখা গিয়েছে, স্কুলের প্রধানশিক্ষকই চাকরিহারাদের তালিকায়। যার জেরে স্কুলের পড়ুয়াদের উপর পরছে সেই প্রভাব। এই সমস্যা দেখা দেওয়ার পরই ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলগুলিতে চাকরি করতে পারবেন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা, রায় ঘোষণা করে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তারপরও দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করার পর বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ছে ছাত্রছাত্রীদের। ছবি আসানসোলের (Assansol) কুলটি অঞ্চলের শ্রী মাড়োয়ারি বিদ্যালয়ের।
জানা গিয়েছে, বাংলা ও হিন্দি দুটি ভাষাতেই পড়ানো হয় এই বিদ্যালয়ে। মোট ১২০০ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। মাধ্যমিক পাস করার পর ছাত্র ছাত্রীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি নিচ্ছেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ পড়ুয়াদের। স্কুল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষক শিক্ষিকা নেই বিদ্যালয়ে। মোট ১২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে চলছে বিদ্যালয়। তার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ভর্তির ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন : অনুব্রতের পর এবার হুমায়ূনের নিশানায় পুলিশ
পড়ুয়ারা জানায়, ক্লাস ফাইভ থেকে এই স্কুলে তাঁরা পড়াশোনা করছে, কিন্তু মাধ্যমিক পাস করার পর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সময় ভর্তি নিচ্ছে না স্কুল। তারা বলছে, তাহলে আমরা কোথায় যাব? কোথায় পড়াশোনা করব? TC নেওয়ার কথা বলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। মোট ১২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে স্কুল চালাচ্ছি। আগামী দিনে শিক্ষক শিক্ষিকা না বাড়ালে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা করাতে সমস্যা হচ্ছে। স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষা দফতরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কবে সমস্যার সমাধান হয় সেদিকেই তাঁকিয়ে রয়েছে স্কুল কতৃপক্ষ থেকে ছাত্র ছাত্রীরা। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে মাথায় হাত অভিভাবকদের।
দেখুন অন্য় খবর