ওয়েব ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার ভেঙে যাওয়া ড্রিমলাইনার এআই-১৭১ (Ahmedabad Plane Crash Air India Dreamliner AI171) বিমানের ব্ল্যাক বক্সও (Air India Black Box) উদ্ধার হয়েছে। বিমানরে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই তীব্র ছিল যে দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশের তাপমাত্রা ১০০০ ডিগ্রি কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। আদৌ ওই ব্ল্যাক বক্স থেকে কোনও তথ্য উদ্ধার করা যাবে কিনা,সেটা নিয়েই তৈরি হল সংশয়। উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধারে সেটিকে আমেরিকায় পাঠানো হতে পারে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে ভারতে কী এমন কোনও ল্যাব নেই যেখানে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধার করা যাবে? ভারতের মতো দেশে বিমান দুর্ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য ‘ব্ল্যাক বক্স’ আমেরিকায় পাঠাতে হবে?
‘ব্ল্যাক বক্স’ আসলে দুটি ডিভাইস – ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, বা সিভিআর, এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার, বা এফডিআর। বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান থেকে উদ্ধার করা ‘ব্ল্যাক বক্স’টি বিমান দুর্ঘটনার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে এখন নজর সেটির দিকেই। এর থেকে তথ্য বার করতে ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ডে পাঠানো যেতে পারে। সূত্রের খবর, ‘ব্ল্যাক বক্স’টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হলে, সমস্ত প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তাদের একটি দল ব্ল্যাক বক্সের সঙ্গে থাকবে।
আরও পড়ুন:অবতরণের পরেও খুলল না দরজা, বিমানেই আটকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
দুর্ঘটনার একদিন পরে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটির একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হয়। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় দুর্ঘটনার তিন দিন পর। শুক্রবার যে হস্টেলের ছাদে বিমানটি আছড়ে পড়েছিল, সেখান থেকে প্রথম ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয় ধ্বংসস্তুপের নিচে। দুটি ব্ল্যাকবক্সই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডিজিসিএর কাছে। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় এতটাই তীব্র ছিল যে দুটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে না। সেটিকে সম্ভবত আমেরিকায় পাঠাতে হবে। ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড ওই ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করবে। সঙ্গে ভারতীয় আধিকারিকরাও যাবেন আমেরিকায়।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) নতুন মডেলের বিমানগুলিতে ককপিট কথোপকথন, শব্দ, রেডিও কল এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের মাধ্যমে শ্রবণযোগ্য সতর্কতার ২৫ ঘন্টা পর্যন্ত ধারণ করতে পারে। তবে, AI-171 ২০১৪ সালে সরবরাহ করা একটি বোয়িং ৭৮৭ ব্যবহার করছিল, যা ২০২১ সালে ২৫ ঘন্টা CVR স্টোরেজের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। অতএব, রেকর্ডারটির সম্ভবত দুই ঘন্টা রেকর্ডিং ক্ষমতা ছিল। অন্যদিকে, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) উচ্চতা, বায়ুর গতি, শিরোনাম, উল্লম্ব ত্বরণ এবং পৃষ্ঠের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের মতো পরামিতি সংগ্রহ করে। 787-8 এর মতো আধুনিক জেটগুলিতে, FDRগুলি একসঙ্গে হাজার হাজার পরামিতি রেকর্ড করতে পারে এবং 25 ঘন্টারও বেশি সময় ধরে লুপ করতে পারে।
দেখুন ভিডিও