ওয়েবডেস্ক- ফর্মে (Enumeration Form) বাবার নাম মায়ের নাম লেখা হলেও, নেই তাদের এপিক নম্বর (Epic Number)। এই ঘটনা জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত ১৭/১৬৯ নম্বর বুথে। এদিকে বিজেপির নেতার এই ঘটনা সামনে আসতেই বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি র সদর ব্লক -১ এর সভপতির শুভঙ্কর মিশ্রর দাবি, ওই বিজেপির বুথ সভাপতি জয় মন্ডল বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। সে কারণেই এসআইআর ফর্মে সমস্ত তথ্য দিতে পারেনি।
এদিকে বিজেপির বুথ সভাপতি জয় মন্ডল (BJP booth president Joy Mandal) জানান, যখন তদন্ত হবে তখন নথি জমা দেব এখন সব রাখা আছে, এসআইআর ফর্ম ফিলাপ করেছি।
এদিন আইনটিটিইউসির সদর ব্লক -১ এর সভাপতি শুভঙ্কর মিশ্র সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, জয় মন্ডল বিজেপির বুথ সভাপতির যে এনুমারেশন ফর্মে কোনও নথি দিতে পারেনি, পুরো ফাঁকা।
বিজেপি নেতৃত্ব যারা আছে তারা যখন বার বার বলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিজেপি নেতারা কর্মীয়া স্বচ্ছ, বাকিরা রোহিঙ্গা বাংলাদেশি ঘুষপেটি এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলছি বিজেপি বুথ সভাপতি কিছু ডিটেল দিতে পারছে না।
বিজেপির কাছে প্রশ্ন এদেরকে আপনারা কি হিসেবে দেখবেন? কেন কোনও তথ্য দিতে পারছে না বর্ডার এলাকা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারে।
কেন্দ্র বার বার বলছে বাংলাদেশি ঘুষপেটিয়ারা ঢুকে যাচ্ছে আমাদের মনে হচ্ছে বিজেপির ষড়যন্ত্র মানুষের সামনে চলে আসছে, আমাদের সন্দেহ বিজেপির অনেক নেতারা নথি দিতে পারবে না। বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে? এরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে তাই এদের কাছে নথি নেই এরা বর্ডার দিয়ে ঢুকেছে, এতেই প্রমাণ হচ্ছে এরা বাংলাদেশি। কেন্দ্রের সহযোগিতা নিশ্চই আছে বর্ডার পার করে এসেছে, আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে বিজেপি কি বলবে? আমরা চাই যারা সঠিক তথ্য দিতে পারছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিএলও এর ফর্ম নিয়েছে সেখানে কোনও তথ্য দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন- পানাগড় কাণ্ড কেড়েছে মেয়ে সুতন্দ্রাকে, মাথার ছাদ হারিয়ে নিঃস্ব মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়
বিজেপির পঞ্চায়েত গোবিন্দ বারুই জানান, বিষয় অবশ্যই বিবেচনার বিষয়, যে ভাবে শাসক দল এসআইআরের বিরোধিতা করছে তৃণমূলের নেতারা এসআইআর বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কাগজ সবার পরিপূর্ণ থাকবে সেটা কথা নেই, অনেকে বাংলাদেশ থেকে আগে এসেছে অনেকে পরে এসেছে। যারা এসেছে এরা হিন্দু ধর্মের মানুষ এরা রীতিমতো সে দেশের সংখ্যালঘু সংখাগুরুদের অত্যাচারে কাপড়ে চলে আসে। শুধু বাংলাদেশি মুসলমান রোহিঙ্গাদের কোনও স্থান নেই, তৃণমূল সস্তা রাজনীতি করে। যেহেতু এরা বিজেপি করে তাই অপপ্রচার করছে যাতে এর নাম বাদ দেওয়া যায় তার প্রচেষ্টা করছে, এগুলো নিয়ে চিন্তা করছি না।
দেখুন আরও খবর-







