কলকাতা: সাইবার ক্রাইমের (Cyber Crime) নয়া পন্থায় বিপদাপন্ন শিক্ষকের পাশে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)।
জানা গেছে, অ্যাকাউন্টে (Account) থাকা ৭,২৮,০০০ টাকা সাফ করার পাশাপাশি জালিয়াত দ্বারা হাই মাদ্রাসা শিক্ষকের (High Madhrash Teacher) নামে ঋণ (Debt)। যে ঋণের টাকা প্রতি মাসে শিক্ষকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেয় ব্যাঙ্ক।
যে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চাইলেও ব্যাঙ্ক নারাজ। এমনকি নতুন স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলতে দিতেও অস্বীকার ব্যাঙ্কের। অভিযোগ হাই মাদ্রাসা শিক্ষকের আইনজীবী বিশ্বরূপ বিশ্বাসের।
লোন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন মামলাকারী নিজে। অনলাইনে ওটিপি শেয়ার না করলে ওই লোন অ্যাকাউন্ট চালু হওয়া অসম্ভব। যেহেতু ঋণের অর্থ শোধ হয়নি তাই প্রতি মাসে ইএমআই বাবদ টাকা ব্যাঙ্ক কাটতে বাধ্য। জানায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক।
আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলে নেই শৌচাগার, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের
ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট মারফত দেখা গিয়েছে আইফোন মারফত লোন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। অথচ মামলাকারীর আইফোন নেই। ফলে ওটিপি শেয়ার করার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান মামলাকারী।
বারাসত সাইবার ক্রাইম থানার আইসি (Barasat Cyber Crime Police Station IC) জানান, বিতর্কিত ওই লেনদেন বিহার (Bihar) থেকে হয়েছিল। খুব সম্ভবত মামলাকারী ওই জালিয়াতির সঙ্গে কোনভাবেই যুক্ত নন। যদিও বিষয়টির তদন্ত চলছে।
মামলাকারী ও পুলিশের বক্তব্য ও তথ্য অনুযায়ী মামলাকারী অনলাইন ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার। তাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নিজেদের মতো তদন্ত চালিয়ে দেখতে হবে কে এই জালিয়াতির ফলে লাভবান। খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য সর্বতো প্রচেষ্টা চালাবে ব্যাঙ্ক ও পুলিশ।
মামলাকারীকে নতুন স্যালারি অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিতে হবে। বিতর্কিত অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। দুই তদন্তের ফলাফল নিয়মিতভাবে মামলাকারীকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha)।
দেখুন অন্য খবর: