ওয়েবডেস্ক- ১০০ দিনের কাজ (100 Days Work)বন্ধ রাখার নয়া ‘কৌশল’ নিয়েছে কেন্দ্র (Central)। এবার স্বচ্ছতা প্রশ্নে রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব। গ্রামীণ ১০০ দিনের কাজ (MGNREGA) নিয়ে কেন্দ্রের নতুন কৌশল ঘিরে উদ্বেগ, কাজ বন্ধ–স্ট্র্যাটেজি নিয়ে রিপোর্ট তলব হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের কৃষক–মজুর–নির্ভর ব্লকগুলিতে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে–পরে এটা বড় ইস্যু হতে পারে।
বাংলার জবকার্ড হোল্ডারদের (Job Card Holder) জন্য কর্মদিবস অনুমোদন করা সহ কাজ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশের এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে, কিন্তু তার পরেও হেলদোল নেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা খাওয়ার পরে এবার তাই ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখার নয়া কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে নতুন করে জমা দিতে হবে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ (এটিআর) (‘Action Taken Report)
। সেটাও একমাসের মধ্যে। কেন্দ্রেরর বক্তব্য, এই নিয়মে রাজ্য যে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে তা সন্তোষজনক নয়।
গত ১১ নভেম্বর রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট বার্তা , সর্বশেষ ২০২৫ সালের ১১ জুলাই রাজ্যের পাঠানো এটিআরকে সন্তোষজনক নয় বলেই মনে করেছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। ১৯ জেলার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। স্বচ্ছতা ও আইন শৃঙ্খলা মেনে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- বঙ্গে জয়ের লক্ষ্যে রাজ্য বিজেপির ভরসা মোদি–অমিত শাহ
এদিকে নবান্নের (Nabanna) দাবি, আদালতের নির্দেশে পরেও টাকা আটকে রাখতে এই নয়া কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার (State Panchayat Minister Pradeep Majumder) জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই চিঠি ও প্রতিটি দাবি ভিত্তিহীন। অনিময়ের অভিযোগে একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ২৫টির বেশি এটিআর জমা দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরেও এখনই বাংলায় কার্যকর হওয়া মনরেগা আইনের ২৭ নম্বর ধারা তুলতে চাইছে না মোদি সরকার। এটাই স্পষ্ট। নবান্নের দাবি, রাজনৈতিক টাকা টাকা আটকে রাখতেই নয়া কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র। তাই আদালতের নির্দেশের পরেও এটিআর চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
দেখুন আরও খবর-







