ওয়েবডেস্ক- দুর্গাপুর কাণ্ডে (Durgapur) ডাক্তারি পড়ুয়ার (Medical Student) সঙ্গে ধর্ষণই (Raped) হয়েছে, তেমনটাই মেডিক্যাল রিপোর্টে (Medical Report) উল্লেখ! রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যৌনাঙ্গের ভিতরে গভীর ক্ষত। ভিতরের অংশে আঘাতের কারণে প্রবল রক্তপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, ধর্ষণের কারণেই রক্তপাত হয়েছে, তৈরি হয়েছে ক্ষত।
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিতা। সোমবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, চিকিৎসকদের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। যেন তারা কোনওভাবেই মুখ না খোলে। নির্যাতিতার বাবাকেও তাঁর মেয়ের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু বলেন, নির্যাতিতার চিকিৎসা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। কারণ বাবাকেও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ওনাকে খালি শুনেই কাজ করতে হচ্ছে। মেডিক্যাল রিপোর্টও তার হাতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি ঠিক মতো পরিষ্কার নয়। চিকিৎসা পদ্ধতিত কীভাবে এগোচ্ছে, সেগুলি আমাদের জানা দরকার। ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদেরও বলে দেওয়া হয়েছে, মুখ না খুলতে। আমরা তো না ই, জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছেও মুখ খোলা বারণ। কারণ তা হলে ডাক্তারদের চাকরি চলে যাবে। শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, নির্যাতিতার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর বাবা-মা তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যেতে চান।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুর কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, মোট সংখ্যা ৪
গত শুক্রবার, ১০ অক্টোবর দুর্গাপুরের পরাণগঞ্জে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতা ওড়িশার বাসিন্দা। রাত ৮ নাগাদ তিনি তার বন্ধুর সঙ্গে খাবার কিনতে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে পাঁচজন। সেই সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধুটি তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতারকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে পরাণগঞ্জের জঙ্গলের দিকে টেনে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার বন্ধুটির গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাকেও আটক করে রেখেছে পুলিশ।
দেখুন আরও খবর-







