Tuesday, November 18, 2025
HomeScrollতালিকায় অযোগ্যর নাম নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী
Bratya Basu

তালিকায় অযোগ্যর নাম নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী

যোগ্যদের জন্য বাড়তে পারে শূন্যপদ, ইঙ্গিত ব্রাত্য বসুর

কলকাতা: একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউর (SSC XI-XII Teacher Recruitment Interview) তালিকায় অযোগ্যর নাম আশা নিয়ে শিক্ষা দফতরের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ‘অযোগ্য’ হয়েও বিশেষভাবে সক্ষম কোটাতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউ তালিকায় নাম এসেছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বিশেষভাবে সক্ষম টেন্টেড কোনও প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারে কিনা সেটা আমরা আইনজীবীদের মাধ্যমে কথা বলে দেখব। তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

প্রসঙ্গত, ‘অযোগ্য’ তালিকায় নাম থাকার পরও নীতীশরঞ্জন বর্মন নামে যে প্রার্থী একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছেন, তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম। শিক্ষামন্ত্রী আরও দাবি করেন, এসএসসির সঙ্গে কথা হয়েছে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেই তালিকায় অযোগ্য বা দাগি কেউ নেই। অপ্রাপ্ত বলেন, সকলকে ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়েছে, কেউ যদি এরকম থেকে থাকে এসএসসি তাদের চিহ্নিত করে বাদ দিয়ে দেবে।”যোগ্যদের জন্য বাড়তে পারে শূন্যপদ। এমনই ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন রীতিমতো রণক্ষেত্র বিকাশ ভবন

সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ফল। সেখানে দেখা যাচ্ছে বহু ‘যোগ্য’ চাকরিহারা তাঁরা ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক পায়নি।। আবার অন্যদিকে সত্তরের মধ্যে ৭০ নম্বর পেয়েও নতুন চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় আন্দোলনে করছে। শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবি নিয়ে। সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “শূন্য পদ বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যোগ্য চাকরিহারাদের নিয়েই মূলত কথা হয়েছে। মন্ত্রিসভা বিবেচনা করে দেখবে। ‘যোগ্য’রা সত্যি কেউ বাদ গেল কিনা আমরা দেখব। তারপর বিবেচনা করা হবে। ‘যোগ্য’দের ক্ষেত্রে সরকার সহানুভূতিশীল।” অন্যদিকে এসএসসি তালিকায় চাকরি প্রার্থীর নাম এসেছে যার জন্ম ১৯৯৭ সাল দেখানো হয়েছে। তাকে অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কি ভাবে এই নম্বর দেওয়া হল উচ্ছে প্রশ্ন?

ব্রাত্য বলেন, “১৯৯৭ সালে কি করে অভিজ্ঞতা নম্বর যোগ হয় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনলাইন এপ্লিকেশনের সময় কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে চাকরি করেছে সেই অভিজ্ঞতা দিয়েছে। নতি যাচাই সময় এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে উপযুক্ত প্রমাণ না দিতে পারলে তার প্রার্থীপদ বাতিল করা হবে।” তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন নতুন চাকরিপ্রার্থী যারা আন্দোলন করছেন শুন্যপদ বৃদ্ধির দাবিতে তা নিয়ে পরিষ্কার কিছু জানাননি তিনি। তিনি বলেন,”তারা কি চায় তা পরিষ্কার করে এখনও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কিছু জানাইনি। আগে জানাক পরবর্তীকালে আমরা বিবেচনা করে দেখব।

অন্য খবর দেখুন 

YouTube player
Read More

Latest News