নন্দীগ্রাম: ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) ফল প্রকাশের পর নন্দীগ্রামে (Nandigram) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসা। কেন্দ্যামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের চিল্লোগ্রামের বাসিন্দা দেবব্রত মাইতি সেই হিংসায় গুরুতর জখম হন এবং ১৩ মে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত চালায় রাজ্য পুলিশ, পরে হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশে সিবিআই (CBI) তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্তে দফায় দফায় ৪২ জনকে চিহ্নিত করা হলেও, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর তাদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় এবং এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের বাইরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর আবার নন্দীগ্রামে ফিরেছেন ওই ৪২ জন অভিযুক্ত।
দেবব্রত মাইতির ছেলে রঞ্জিত মাইতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পুলিশি তদন্তে ভরসা রাখতে না পেরে সিবিআইয়ের হাতে মামলা দিয়েছিলাম। কিন্তু পাঁচ বছর কেটে গেল, সিবিআই দোষীদের সাজা তো দূরের কথা, তদন্তই ঠিকভাবে শেষ করতে পারল না। আবার একটি বিধানসভা নির্বাচন আসছে, আবার কি একই ঘটনা ঘটবে? দ্রুত বিচার না হলে মানুষের আস্থা কোথায় থাকবে?”—এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে কমল দিনের সংখ্যা, বড় সিদ্ধান্ত পর্ষদের
অন্যদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম তৃণমূল নেতা শেখ আবু তাহেরের দাবি, “সিবিআই কোনও তদন্তই সময়মতো শেষ করতে পারে না। এখন তারা কেন্দ্রের নির্দেশেই চলেছে।” বিপরীতে বিজেপি নেতা মেঘনাথ পালও স্বীকার করেন যে, তদন্তের ধীরগতিতে তাঁরাও হতাশ।
একটি বিধানসভা নির্বাচন থেকে আরেকটি নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও নন্দীগ্রামের ভোট-পরবর্তী হিংসায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা তো দূরের কথা, চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়াও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ফলে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, এবং বিচার পাওয়ার আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
দেখুন আরও খবর:







