ওয়েব ডেস্ক : গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার (Former Australian cricketer) ডেমিয়েন মার্টিন (Damien Martyn)। জানা গিয়েছে, ৫৪ বছর বয়সি প্রাক্তন এই ক্রিকেটার মেনিনজাইটিসে (Meningitis) আক্রান্ত হয়েছেন। তার পর থেকে কোমায় তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ সকলে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
সূত্রের খবর, গত ২৬ ডিসেম্বর অসুস্থ হন মার্টিন। দ্রুত তাঁকে কুইন্সল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁর শরীরে মেনিনজাইটিসের সংক্রমণ শনাক্ত করেন। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ফুটবলার ব্র্যাড হার্ডি প্রথম মার্টিনের অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, “ড্যামিয়েন (Damien Martyn) জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি।” এই খবরে গোটা ক্রিকেট মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট হাসপাতালের মুখপাত্র সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন, তিনি হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।
আরও খবর : এভাবেও ফিরে আসা যায়! কেমন কাটল রোহিত, কোহলির ২০২৫?
কী এই মেনিনজাইটিস?
মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডকে ঘিরে থাকা ঝিল্লি বা আবরণীর সংক্রমণ ও প্রদাহ হল মেনিনজাইটিস (Meningitis)। এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হওয়ার মতো বিষয় দেখা য়ায়। সঙ্গে বমি ও সর্দি কাশি হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, অসুস্থ হওয়ার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ক্রিসমাস ইভেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন মার্টিন। চলতি অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্ট নিয়ে উত্তেজনার কথাও লিখেছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁর হঠাৎ অসুস্থতার খবরে বিস্মিত ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ড্যামিয়েন মার্টিন (Damien Martyn) অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটার হিসেবে পরিচিত। ১৯৯২ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৬৭টি টেস্টে ৪,৪০৬ রান করেন তিনি। ২০০৪ সালে ভারতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মার্টিন। একদিনের ক্রিকেটেও তাঁর অবদান স্মরণীয়। ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভাঙা আঙুল নিয়েই অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে হারাতে অস্ট্রেলিয়াকে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ২০০৫-০৬ অ্যাশেজ সিরিজ চলাকালীন আচমকাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মার্টিন।
দেখুন অন্য খবর :







