ওয়েব ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে (Joint Mission) মাওবাদী (Maoists) কার্যকলাপ ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মাওবাদী নেতাদের আত্মসমর্পণের (Surrender) প্রবণতাও। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের (Bastar) চার শীর্ষ মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, যাঁদের মাথার দাম ছিল মোট ৩২ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, বুধবার নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমারের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন ওই চার মাওবাদী নেতা। তাঁদের মধ্যে দুই জন হলেন দম্পতি।
আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে খুন, নাশকতা-সহ ৪০টিরও বেশি গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ (Chhattisgarh Police)। ধৃতদের মধ্যে গান্ধী তাঁতি ওরফে আরব ওরফে কমলেশ (৩৫) ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় যৌথবাহিনীর উপর ভয়ঙ্কর হামলায় ৭৬ জন জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। এদিকে মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম (৩৫) নিষিদ্ধ সিপিআই (মাও)-এর আমদাই এরিয়া কমিটির সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন (৩০) এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলও আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন: পর পর গুলি বাবা ও ভাইয়ের, পুলিশের সামনেই মৃত্যু তরুণীর
নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণকারীরা ছত্তিশগড় পুলিশের ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার অভিযানের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বস্তার ডিভিশনে আরও অনেক মাওবাদী নেতা-নেত্রী এই কর্মসূচির আওতায় আত্মসমর্পণ করবেন বলে আশা করছি।’’
উল্লেখ্য, গত বছর বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় মোট ৭৯২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের ফলে মাওবাদী গেরিলা বাহিনী ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এর পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করাই মাওবাদী প্রভাব কমানোর মূল চাবিকাঠি। তবে ছত্তিশগড় পুলিশের এই উদ্যোগ মাওবাদী গেরিলাদের অস্ত্র ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
দেখুন আরও খবর: