ওয়েব ডেস্ক : বিপাকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। করোনার সময় ওষুধ মজুত রাখা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল না দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এ নিয়ে আগামী ২৯ অগাস্ট হাইকোর্টে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন গম্ভীরের বক্তব্য শুনবে আদালত।
করোনার সময় পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ ছিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি অতিরিক্ত পরিমাণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুত করেছিলেন। এ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বর্তমানে সেই মামলার শুনানি চলছিল নিম্ন আদালতে। কিন্তু, সেই মামলার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন গৌতম।
আরও খবর : শরীরে দানা বেঁধেছে মারণ রোগ! হাসপাতালে ভর্তি বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার
গত সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানির সময় গম্ভীরের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, গম্ভীর প্রাক্তন সাংসদ, জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। করোনার সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ দিয়ে সাধারণ মানুষের সাহায্য করেছিলেন তিনি। এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণ বলেছেন, বিষয়টি যদি সহজ করে বলা হত তাহলে ভেবে দেখা যেত। কিন্তু তার মক্কেলের যোগ্যতা ও পরিচয় উল্লেখ করে কাজ চালানো যাবে না। ৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতে এই মামলার ফের শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, করোনার সময় গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘ফ্যাবিফ্লু’ ওষুধ তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় মজুত করে রেখেছিলেন। পূর্ব দিল্লির সাংসদ থাকার সময় তিনি নাকি এলাকায় ওষুধ বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সাধারণ মানুষের যেখানে ওষুধ পেতে দেরি হচ্ছে, সেখানে একজন রাজনৈতিক নেতা কেন এত পরিমাণ ওষুধ মজুত করে রেখেছেন? সেই প্রশ্ন তুলে গম্ভীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন দীপক সিং নাম এক চিকিৎসক। সেই মামলায় এতদিন চলছিল নিম্ন আদালতে। আর এই মামলার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন গম্ভীর। কিন্তু তা খারিজ করে দিল আদালত।
দেখুন অন্য খবর :