তেহট্ট: একই বুথের ৪৯১ জন ভোটারকে একসঙ্গে শুনানির নোটিস (SIR Hearing Notice)! ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম আতঙ্ক ছড়াল তেহট্ট–১ ব্লকে (Tehatta Block 1)। পলাশীপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত চাঁদেরঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৫ নম্বর বুথে এই বিপুল সংখ্যক ভোটারকে শুনানির নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ (District news)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নোটিস যারা পেয়েছেন তাদের অনেকেরই নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার জিৎপুর মোড় থেকে মিছিল করে তেহট্ট–১ বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য-সহ দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা।
আরও পড়ুন: গানপাড়ায় সুখবর! অদিতি মুন্সি কি মা হচ্ছেন?
বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বিজেপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের শক্তিশালী বুথকে নিশানা করেছে।” তাঁর দাবি, নোটিস প্রাপকদের ৪৯১ জনের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য তুহিন মণ্ডল, পাশাপাশি বহু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভোটার। সকলকেই বিডিও অফিসে এসে শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা তাঁদের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।
বিক্ষোভকারীদের স্পষ্ট দাবি, বিডিও অফিসে নয়, সংশ্লিষ্ট গ্রামেই গিয়ে শুনানি পর্ব সম্পন্ন করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষকে অযথা হয়রানির শিকার হতে না হয়।
অন্যদিকে, তেহট্ট–১ ব্লকের বিডিও সঞ্জীব সেন জানান, নোটিস প্রাপকদের মধ্যে ৪৮৪ জনের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকলেও বিএলও অ্যাপে তাঁদের তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং যাতে কেউ সমস্যায় না পড়েন, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি জানান, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়েই শুনানি করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে, একই বুথে একসঙ্গে এতজন ভোটারকে নোটিস দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে, আর তার মাঝেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।







