ওয়েবডেস্ক: ভারতের কাপড়ের ব্যবসা কি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে? অশনি সঙ্কেত বস্ত্র শিল্পে (Textile)। আমেরিকা (US) ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক (Reciprocal Tariff) চাপাতে পারেন। ফলে বস্ত্র শিল্পে এর খারাপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। যা হলে খরচ বেড়ে যাবে। সমস্যা হবে রফতানি করায়। আমেরিকা ভারতের ২৮ শতাংশ বস্ত্র আমদানি করে। গত বছর যে ক্ষেত্রে ২.৫৮ বিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছে। এবার তাতে ২৭.৮৩ শতাংশ শুল্ক বসতে পারে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে ভারতের কোন সেক্টরগুলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে।
কৃষি, যন্ত্রপাতি, ওষুধ, বিদ্যুত, রায়াসনিক সেক্টরে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, কৃষিক্ষেত্র বড় সমস্যায় পড়তে পারে। এছাড়া মাছ, মাংস, প্রক্রিয়াকরণ করা সামুদ্রিক খাবারের প্রভাব পড়বে। কৃষি ক্ষেত্র, মূল্যবান পাথর, রাসায়নিক, ফার্মা, মেডিক্যাল ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: আজ থেকেই আমেরিকার শুল্ক? বিকেলে হোয়াইট হাউসে বিবৃতি ট্রাম্পের
ট্রাম্পের হুঁশিযারি অনুযায়ী এই শুল্ক কি ২৫ শতাংশ হবে? আজ, বুধবার আর কিছুক্ষণের মধ্যে তা পরিষ্কার হবে। এদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এই বিষয়ে বিবৃতি দেবেন। ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, যেসব দেশ আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে চড়া শুল্ক চাপায় তাদের পাল্টা চড়া হারে শুল্ক চাপানো হবে। যা বিশ্বে শুল্ক যুদ্ধের সূচনা করে। রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ নামে ওই শুল্ক কত শতাংশ হারে পারে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন দেশ। আজ, ২ এপ্রিল থেকে যা লাগু হওয়ার কথা।
দেখুন অন্য খবর: