কলকাতা: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। ধীরে ধীরে চেষ্টা চলছে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসার। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে টানা কয়েকদিন ধরে চলা ত্রাণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর ও জেলা প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। নবান্নর (Nabanna) তরফে বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানান হয়েছে।
নবান্নের তরফে বলা হয়, বিভিন্ন এলাকায় চালু রয়েছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র (Relief Camp), অস্থায়ী আশ্রয়শিবির (Shelter) ও রান্নাঘর (Kitchen)। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য খাদ্য, পানীয় জল, প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি বন্যায় নষ্ট হয়েছে, তাদের জন্য বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে দ্রুত নতুন করে নথি ইস্যু করা যায়। পাশাপাশি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দুর্গম অঞ্চলগুলিতে পৌঁছানোর জন্য। সুখিয়াপোখরির তাবাকোশি-সহ পাহাড়ি এলাকার বহু গ্রামে প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে, ধ্বংসস্তূপ ও কাদামাটি পরিষ্কারের কাজও চলছে জোরকদমে। কোনও রকম সংক্রামক রোগ যেন না ছড়ায় এবং মাছচাষ ও জীবিকার কাজ দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, সড়ক ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে জেলা প্রশাসন, যাতে ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা যায়।
আরও পড়ুন: স্পোর্টস ক্লাসে দৌড়ের সময় আচমকা মৃত্যু, চাঞ্চল্য স্কুলে
নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে রাজ্যের পুনর্বাসন ও ত্রাণ কার্যক্রমের উপর নিয়মিত নজরদারি করছেন। মুখ্যসচিবও সমস্ত জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে ত্রাণের অগ্রগতি ও সহায়তা কার্যক্রমের পর্যালোচনা করেছেন, যাতে কোনও পরিবার সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয়।
দেখুন খবর: