ওয়েব ডেস্ক: পালা বদলের পালা? দিল্লির (Delhi) পরে এবার পঞ্জাবে (Punjab)! হঠাৎ একথা শুনে অনেকে ভিরমি খেতে পারেন। কিন্তু কেন একথা বলছি তা ব্যাখ্যা করা দরকার। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগ। কে জিতল, কে হারল এ নিয়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গে শুরু হয়ে যায় নানা মিম। রঙ্গে ভরা সেই মিডিয়ায় এই হলে তাই হতে পারে শীর্ষক নানা চর্চা। খোদ রাজধানীর ভোট। স্বাভাবিকভাবে হাজারো ব্যাখ্যা দেশজুড়ে। তার মধ্যে একটি হল অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind kejriwal) না কি পঞ্জাবে যাবেন এবার। এমনও বলা হচ্ছে সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। এই বিতর্ক উস্কে দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারাই।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত আপ। ২২টি আসন তাদের দখলে। হেরেছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তারই মধ্যে ওই চর্চা, এবার আপের হাতে থাকা পঞ্জাবেও পালা বদল হতে পারে। আপাতত অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির ২৬ বছর পর জয়ের মধ্যেই এই আলোচনা। শুরুটা হয় পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা তথা বিরোধী দলনেতা পর্তাপ সিং বাজওয়ার মন্তব্য দিয়ে। তাঁর কটাক্ষ, কেজরিওয়াল দিল্লিতে হেরে এবার পঞ্জাব আসবেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইবেন। একইসঙ্গে সরকারের মধ্য মেয়াদেই নির্বাচন হতে পারে। বাজওয়া যুক্তি দেন, এই আলোচনার প্রেক্ষিত শুরু হওয়ার জন্য পঞ্জাবে আপের প্রধানের মন্তব্য দায়ী। আপের রাজ্য সভাপতি আমন অরোরা কিছু দিন আগে বলেছেন, একজন হিন্দু পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। লুধিয়ানায় আপের বিধায়ক হেরে যাওয়ার পর সেই আসনও ফা্ঁকা রয়েছে। ফলে সেখানে কেজরিওয়াল ভোটে লড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে হারলেন কেজরিওয়াল সহ এই ৫ ‘হেভিওয়েট’ AAP প্রার্থী
এছাড়া গুরুদাসপুরের কংগ্রেস সাংসদ সুখজিন্দরসিং রণধওয়াও বলেন, পঞ্জাব সরকারের মধ্য মেয়াদেই বিধানসভা ভোট হতে পারে। আপের অন্ততপক্ষে ৩৫ জন বিধায়ক অন্য দলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। দিল্লির আবগারি দুর্নীতির মতো পঞ্জাবেও দুর্নীতি হয়েছে। ধানে এমএসপি নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে। তবে রাজনৈতিকস মহল মনে করছে, এখন বাস্তবে এর খুব প্রভাব না থাকলেও কেজরিওয়ালের অস্তিত্বরক্ষার জন্য এখন পঞ্জাবই ভরসা। কারণ দিল্লি থেকে ঝড়ের গতিতে উত্থান হওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের ভর কেন্দ্র থেকেই ক্ষমতা চলে গেল।
দেখুন অন্য খবর: