কলকাতা: কসবা ল কলেজ (Kasba Law College) গণধর্ষণ-কাণ্ডে তদন্ত কমিটি গড়ল বিজেপি। শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে কলেজ ও কসবা থানার সামনে। কলেজ ক্যাম্পাসে কীভাবে ছাত্রীকে গার্ড রুমে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এই ঘটনার তদন্তে তৈরি হল তদন্ত কমিটি (BJP has made an investigation committee )। ল কলেজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশে ৪ সদস্যর কমিটি ঘঠন করেন। খুব শ্রীঘ্রই তারা ঘটনা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন এবং রিপোর্ট দেবেন নাড্ডাকে (J P Nadda)।
কসবা কাণ্ডে অভিযোগকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য জুড়ে ফের শোরগোল উঠেছে। অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। আর এবার সেই গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে কমিটি তৈরি করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সূত্রের খবর, সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নড্ডা কমিটি তৈরি করেছেন। সেই কমিটির সদস্যরা এলাকায় যাবেন ও তদন্ত করবেন। কারা থাকছেন সেই কমিটিতে? কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা সতপাল সিং, মীনাক্ষী লেখি, সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ও মানান কুমার মিশ্র। এই তদন্ত কমিটি খুব তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। তদন্তের রিপোর্ট জমা দেবে সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী জেপি নাড্ডাকে।
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে ৭ ঘণ্টার CCTV ফুটেজ পুলিশের হাতে, তদন্তে SIT গঠন
অভিযোগ, কসবার কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে কলেজের ভিতরেই। মূল অভিযুক্ত কলেজের প্রাক্তনী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তিনি আবার কলেজের অস্থায়ী কর্মীও। গত ২৫ জুন ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। তা প্রত্যাখান করতেই যুবতীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তাঁকে এই ঘৃণ্য অপরাধে সাহায্য করেছিল কলেজেরই দুই পড়ুয়া। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে দাবি করেন, ইউনিয়ন রুম থেকে তিনি যখন পালানোর চেষ্টা করেন, তখন কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগকারিণী আগেই জানান, ওইদিন গণধর্ষণের সময় তাঁর ভিডিও তুলে রাখা হয়।পুলিশের কাছে আরও জানান, ঘটনার দিন তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, বারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে জাননি। এরপর তাঁকে ইনহেলার এনে দেওয়া হলে, তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করেন।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বিশেষজ্ঞরা। কলেজে তল্লাশি চালিয়ে একটি ঘর থেকে হকিস্টিক বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। এছাড়া কমন রুমে মিলেছে রক্তের দাগ। সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ল’কলেজে ‘গণধর্ষণ’ এর অভিযোগের তদন্তে সাড়ে ৭ ঘণ্টার CCTV ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন দুপুর ৩.৩০ থেকে রাত ১০.৫০ পর্যন্ত CCTV ফুটেজ উদ্ধার করা গিয়েছে। এবার অভিযোগকারিণীর বক্তব্যের সঙ্গে ফুটেজ মিলিয়ে দেখছে পুলিশ। কসবা কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন কলকাতা পুলিশের। চার সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী কমিটির নেতৃত্বে অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার।
অন্য খবর দেখুন