বানারহাট: সাতসকালে চা বাগানে (Tea Garden) চা-পাতা তুলতে গিয়ে ফের চিতাবাঘের (Leopard) হামলায় আহত হলেন চারজন চা শ্রমিক (Four Tea Worker Injured)। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের (Jalpaiguri Banarhat) গয়েরকাটা চা বাগানের আংরাভাসা ১ নম্বর সেকশনে। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা এবং একজন পুরুষ শ্রমিক। তাঁদের নাম মহাতি মিঞ্জ, ভিনসারি মিঞ্জ, মানতী লকরা ও আদ্রানুজ মিঞ্জ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সকালের কাজ শুরুর সময় হঠাৎই বাগানের নালা থেকে একটি চিতাবাঘ (Leopard) বেরিয়ে এসে প্রথমে এক শ্রমিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে চিতাবাঘটি (Leopard) পরপর চারজনের উপর আক্রমণ চালায়। চা শ্রমিকরা চিৎকার শুরু করলে বাঘটি তাড়া খেয়ে পাশের বাগানের জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের বলরামপুরে, মৃত ৯
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাপতি সীমা চৌধুরী ও তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী বিরাজ এলাকা। তাঁরা আহতদের খোঁজখবর নেন এবং উপস্থিত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেন। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে (Forest Department)। বনকর্মীরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করেন।
উল্লেখ্য, ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে (Doorars Tea Garden) চিতাবাঘের (Leopard) দেখা মিলছে প্রায় প্রতিদিনই। বৃহস্পতিবারই বানারহাটের কলাবাড়ি চা বাগানে বনদপ্তরের পাতানো খাঁচায় ধরা পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের চিতাবাঘের হামলায় আহত হলেন শ্রমিকরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের চা বাগানগুলোতে (Doorars Tea Garden)। এর আগেও একাধিকবার চিতাবাঘের গতিবিধি লক্ষ্য করা গেলেও, এখনও পর্যন্ত চিতাবাঘের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে কোনও উদ্যোগ কার্যকর হয়নি।
বনদপ্তরের (Forest Department) তরফে গণনার পরিকল্পনার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বাস্তবে তা এখনও শুরু হয়নি। ফলে চা শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত চিতাবাঘ গণনা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যাতে আর প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। ঘটনাস্থলে আতঙ্কিত শ্রমিকরা, বনদপ্তরের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জোরালো হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর