ওয়েবডেস্ক- জ্ঞানেশ্বরীর ভয়াবহতাকে মনে করাল কোকরাঝাড়। বুধবার কোকরাঝাড়ে (Kokrajhar) রেল লাইনে (Rail Line) আইইডি বিস্ফোরণের (IED Blast) ঘটনা ঘটে। কোকরাঝাড় (Kokrajhar) ও সালেকাটি স্টেশনের (Salekati Station) মাঝে এই বিস্ফোরণ হয়। উড়ে যায় রেল লাইনের একাংশ। কোনও হতা-হতের খবর না থাকলেও বেশ কিছুক্ষণের জন্য রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। জানা গেছে এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছে মাওবাদীরা। চাঞ্চল্যকর দাবি অসম পুলিশের (Assam Police)। তদন্তে নেমে পুলিশ এক সন্দেহভাজন মাওবাদীকে (Maoist) খতম করে। এই ঘটনার পর থেকে রেললাইনে নজরদারি বাড়িয়েছে অসম পুলিশ।
কোকরাঝাড়ের পুলিশ সুপার পুষ্পরাজ সিং (Kokrajhar Superintendent of Police Pushparaj Singh) জানিয়েছেন, ”গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে, বেশ কয়েকজন গা ঢাকা দিয়েছে। সেই মতো এলাকা ঘিরে রাখা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশ। এর পরেই মাওবাদীরা পালিয়ে যায়। এই গুলি বিনিময়ের সময় একজন আহত হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা।
পুষ্পরাজ সিং জানিয়েছেন, মৃত ওই মাওবাদীর নাম আপিল মুর্মু ওরফে রোহিত মুর্মু (৪০)। মৃত কোকরাঝাড় রেললাইনের বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত। এছাড়াও অসম ছাড়াও একাধিক নাশকতার নেপথ্যে ছিল এই রোহিত। ঘটনা তদন্ত চলছে। তল্লাশির সময় ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, দুটি গ্রেনেড ও একটি ভোটার কার্ড ও একটি আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে।
গত বুধবার প্রায় ১ টা নাগাদ অসমের কোকরাঝাড় ও সালেকাটি স্টেশনে মাঝে আপ লাইনে এই বিস্ফোণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় লাইনের একটি অংশ। একাধিক গর্ত তৈরি হয়। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় একাধিক ট্রেনকে। খবর পেয়েই ছুটে যায় জিআরপি, অসম পুলিশ-সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, বিস্ফোরণে আইইডি যোগ রয়েছে। নাশকতার যোগ স্পষ্ট। এর পরেই তদন্তে নামে অসম পুলিশ।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকের সুইসাইড নোটের এক সাংসদেরও উল্লেখ
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা ঘটে। তদন্তে জানা যায় মাওবাদীরাই এই হামলার ছক কষেছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামের কাছে লাইনচ্যুত হয় কুরলা লোকমান্য তিলক জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেস। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিল ১৮০ জন। পরে তদন্তে জানা যায়, খুব পরিকল্পনা মাফিক এই বিস্ফোরণ ঘটনা হয়েছিল। ওই এলাকার রেললাইনে ফিসপ্লেট আগে থেকেই আলগা করে রাখা হয়েছিল। গভীর ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার সময় মাওবাদীরা টানা বনধ করছিল। কোকরাঝাড় দুর্ঘটনা মনে করাল জ্ঞানেশ্বরীর ভয়াবহতাকে। ফলে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে উঠছে মাওবাদীরা। কোকরাঝাড়ের ঘটনাতে সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট।
দেখুন আরও খবর-







