মুর্শিদাবাদ (রানিতলা)- ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) রাইস মিলে (Rice mill) রুজির টানে পাড়ি দেওয়া ১৮ বছরের যুবক বাপি শেখের (Bapi Sheikh) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর সকালে তাঁর নিথর দেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছতেই নাজিরের চক গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙে পড়েন মা-বাবা, ভাইবোন ও প্রতিবেশীরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র এক মাস আগে পেটের দায়ে বাপি একই গ্রামের ঠিকাদার জুয়েল শেখের সঙ্গে ছত্তিশগড়ের একটি রাইস মিলে কাজ করতে যান। ৩০ নভেম্বর হঠাৎ বাপির মায়ের কাছে ফোনে খবর আসে— বাপি গরম জলে পড়ে গুরুতর আহত। পরিবারের দাবি, তারা ঘটনার ছবি বা ভিডিও কল চাইলেও ঠিকাদার জুয়েল শেখ কোনও অজুহাত দেখিয়ে কিছুই দেখাননি।
এরপর পরিস্থিতি আরও গুরুতর মোড় নেয়। ১ ডিসেম্বর দুপুরে আবার ফোন আসে এবং জানানো হয় বাপি মারা গেছেন। পরিবারের প্রশ্ন, কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? কেন লুকোছাপা করা হচ্ছে? গরম জলে পড়া নাকি অন্য কোনও কারণ— এই মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল রহস্য।
বাপি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। তাঁর অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি বর্তমানে দুমুঠো ভাতের নিশ্চয়তা নিয়েও অনিশ্চিত। অসহায় পরিবারটি হাত জোড় করে সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য এবং এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতীয় বাবার বাংলাদেশি ছেলে! SIR ফর্ম জমা হতেই চক্ষু চড়কগাছ
গ্রামের মানুষের দাবি, প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই শ্রমিক মৃত্যুর সম্পূর্ণ তদন্ত করে, ঠিকাদারের জবাবদিহি নিশ্চিত করে এবং পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়। এই ঘটনা আবারও ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতার কঠোর বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে এলো।
দেখুন আরও খবর-







