ওয়েব ডেস্ক: ন্যাটোর (Nato) সদস্য দেশগুলির মধ্যে আমেরিকা মহাদেশের আমেরিকা (US) ছাড়াও রয়েছে কানাডা (Canada)। বাকি ৩০টি দেশই ইউরোপের (Europe)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ন্যাটো জোট আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে যুদ্ধের বিষয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইউক্রেন ইস্যুতে সেই জোটই এবার ভাঙনের মুখে। কারণ কানাডাও এবার সমর্থন করল ইউক্রেনকে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, ইউক্রেনের য়খনই দরকার হবে সাহায্য করা হবে। রাশিয়ার অভিযান বেআইনি। রাশিয়া চাইলেই যুদ্ধ বন্ধ করা যায়। ইতিমধ্য়ে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যান্নালেনা বেয়ারবক ন্যাটোর বাইরে সামরিক জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
ওভাল অফিসে সম্প্রতি ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র বাদানুবাদ হয়। সংবাদমাধ্যমের সামনেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান দুজনেই। ভেস্তে যায় বৈঠক। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায়। এমনকী আমেরিকার সব থেকে বিশ্বস্ত বন্ধু বলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পরিচিত ব্রিটেনও ইউক্রেনকে খোলাখুলি বড় অঙ্কের অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাটোর বাইরে নতুন সামরিক জোটের সওয়াল জার্মানির
ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আরও বিচ্ছিন্ন ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিনদেশের প্রতিবেশী কানাডাও খোলামেলা সমর্থন জানাল ইউক্রেনকে। এমনিতে অভিবাসী, শুল্ক সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে বিরোধ চলছে ট্রাম্প প্রশাসনের। তার মধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন অবস্থান চিন্তা বাড়াল ট্রাম্প প্রশাসনের। রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে। তারপর থেকে ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সব থেকে বেশি অর্থ ও সামরিক সাহায্য করেছে জো বাইডেনের আমেরিকা। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার পরে বিদেশ নীতি বদলান। তিনি ইউক্রেনে সাহায্য বন্ধ করে দেন। যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগ নেন। ইউক্রেনের অভিযোগ, ট্রাম্প রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছেন। এদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি ভোলবদলে জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট চাইউলে তিনি ফের দেখা করবেন।
দেখুন অন্য খবর: