ওয়েব ডেস্ক : ৩ বছর বয়সে প্রথম হাঁটতে শেখা। সরকারি হাসপাতালের প্রচেষ্টায় নতুন জীবন জোকার বাসিন্দা পল্লবী মন্ডলের (Pallavi Mondal)। এম আর বাঙ্গুর হাসাপাতালের (M R Bangur hospital) মানবিক প্রচেষ্টা এবং উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতিতে পল্লবী পেয়েছে নতুন জীবন।
জন্ম থেকে ক্রোমোজোমাল ডিসঅর্ডার, স্নায়ু জনিত সমস্যার মত আরও বেশ কিছু জটিল সমস্যা থাকায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারত না পল্লবী। শিরদাঁড়ার এক অস্ত্রোপচারের পর শুরু হয় ইনফেকশন। ছড়িয়ে পড়ে শরীরের ইউনিরারি ট্র্যাক সহ বিভিন্ন জায়গায়। আক্রান্ত হয় থার্ড ডিগ্রি বেডশোতে।
আরও খবর : ‘প্রধানমন্ত্রীকে ‘চোর স্লোগান’, স্পিকার শুনতেই পাননি’ শাসকদলকে কটাক্ষ শঙ্কর ঘোষের
৮ মাস হাসপতালের চলে কঠিন লড়াই । টুলের ওপর বসে কেটেছে বহু মাস। তবে সময় তাকে বহুবার হারাতে চাইলেও হার স্বীকার করেননি পল্লবী (Pallavi)। ডাক্তার, নার্স এবং চিকিৎসা কর্মীদের সহযোগিতায় প্রথম নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বাদ পায় ২৩ বছর বয়সে। দীর্ঘ আট মাস বঙ্গুর হাসপাতালে তার লড়াই চলে। হাসপাতালের এক নার্স হয়ে উঠে পল্লবীর “ছোট মা”।
সরকারি হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং মানবিক প্রয়াশ পল্লবীর মনের জোরকে আরও দৃঢ় করেছে। ভ্যাক থেরাপির মত উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা অবদান স্বীকার করেছেন চিকিৎসকেরা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বেশ কিছু ক্লাব সহ , চিকিৎসক , নার্স এবং সহৃদয় মানুষজন।পল্লবী হয়ে উঠছে না হেরে যাবার প্রতীক।
দেখুন অন্য খবর :