কলকাতা: দীর্ঘ আন্দোলনের পরও সমাধান সূত্র বের হয়নি। এবার হাইকোর্ট চল ডাক তুলে শুক্রবার পথে নামল ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা (SLST Applicants)। ধর্মতলায় এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে যোগ দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে ধর্নায় বসলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। পুলিশ আটকাতেই ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। রাস্তায় বসে পড়েন কুণাল ঘোষ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, চাকরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আন্দোলন করছেন। ২০০৯ সালে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বেশ কয়েকজন ‘যোগ্য’ প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিয়েছে জেলা শিক্ষা সংসদ। আদালতের রায়ে একদল চাকরি পেল কিন্তু তাঁরা এখনও বঞ্চিত। এতদিন ধরে আন্দোলনের পরও সুরাহা মেলেনি। আইনিই জটে আটকে তাঁদের চাকরি। বঞ্চনার কথা তুলে ধরে হাইকোর্ট চল ডাক দিয়ে পথে নেমেছেন চাকরিপ্রারর্থীরা।
আরও পড়ুন : ক্ষমা চাইতে হবে রত্নাকে?
কুণাল ঘোষের অভিযোগ, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিচারের নামে দীর্ঘমেয়াদী করে নাটক করছেন। মামলা জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেও নিশানা করে বলেন, আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের জন্যই এসএলএসটি ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরি পাচ্ছেন না। বিকাশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকিও দেন। বিকাশ ভট্টাচার্যের মামলার গেঁড়োয় এদের চাকরি আটকে যাচ্ছে। তাঁর মধ্যে একটা অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রেতাত্মা লুকিয়ে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদের চাকরির ব্যবস্থা করছেন। এরা কেউ বলছেন গায়ে আগুন দেব, কখনও বলছেন বিচারপতির বাড়ির দিকে যাবেন। প্রথম থেকে ওদের সঙ্গে রয়েছি। যদিও পাল্টা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, ছাত্রছাত্রীরা যারা এই মিছিলে রয়েছেন তাঁদের কাছে আমার আবেদন এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যোগ দেবেন না।
অন্য খবর দেখুন