নয়া দিল্লি: রোজনামচা অফিসে আসতে অনীহা? একঘেয়ে কাজে বিরক্তি? দিনশেষে হতাশ লাগে? পান থেকে চুন খোসলেই রাগী বসের বকুনি (Workplace Bullying Culture)! বসের বকুনি যদিও অপরাধ নয়! তবে তিরস্কার? এবার থেকে তাও আর অপরাধ নয়! সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারল ও সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ এমনই রায় দিয়েছে। আগে এই ধরনের অভিযোগ ও ঘটনায় জেলে হতে পারত। ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫২ নম্বর ধারায় এ ধরনের ঘটনা অপরাধের আওতায় আসে না।
২০২২ সালের একটি মামলায় ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট অফ পারসনস উইদ ইনটেলেকচুয়াল ডিজ্যা়বিলিটিজ়-এর ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে তাঁর এক সহকর্মী অধ্যাপককে চূড়ান্ত অপমানের অভিযোগ এনেছিলেন। এই মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায় দিল কোর্ট।
আরও পড়ুন: সাত সকালে দিল্লিতে ভূমিকম্প, রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার বার্তা মোদির
অভিযোগকরিণী অভিযোগ করেন তাঁর বসের বিরুদ্ধে। উপরমহলে অভিযোগ জানলে তাঁর বস উল্টে তাঁকে আরও বকাঝকা করেন। এতে চূড়ান্ত অপমানিত হন ওই মহিলা। তাঁর আরও অভিযোগ, ২০২০ সালের কোভিড চলাকালীন অফিসে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোভিড কিট ছিল না। এতে সংস্থার কর্মীদের মধ্যে ওই রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এ প্রসঙ্গে তাঁর বসের কোনও হেলদোলও ছিল না।
এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, কোনও সম্ভাবনা বা ধারণার উপর ভিত্তি করে কারোর উপর কোনও অভিযোগ আনা যায় না। ইচ্ছাকৃত অপমান বা অসম্মান, নিম্ন রুচির অপমানজনক কথা বা অযথা টক্সিক পরিবেশ না থাকলে, অফিসে সিনিয়র বা বসের অপমান কখনও গ্রহণযোগ্য অপরাধ বলে ধরা হবে না। এটি চাকরির অঙ্গ। কর্মক্ষেত্রে কোনও কর্মীকে মনোযোগী ও যুক্তিযুক্ত হওয়া জরুরি। নিজের কাজও অত্যন্ত দায়বদ্ধ ভাবে করা উচিত বলেই মনে করে সুপ্রিম কোর্ট।
দেখুন আরও খবর: