শাকিল মুস্তাক, সল্টলেক: বিধানসভায় (Assemble) মারামারি প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) ‘চোর স্লোগান’ দেওয়া হল। স্পিকার (Speaker) নাকি কিছুই শুনতে পাননি। সাংবাদিকদের সামনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ (BJP’s chief campaigner Shankar Ghosh) । নিজের শারীরিক অবস্থাও সম্পর্কেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে শঙ্কর ঘোষ জানান, দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনে ঘটনায় বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর নির্দিষ্ট সময়ে বলার সময় বিজেপিরা শাসক দলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদের কথা বলার জন্য সময় ছেড়ে দিয়ে বলেন, ওরা আগে বলে নিক, পরে আমি বলব। এই পরেই তুমুল হই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বার বার তাদের থামতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যাও তাদের থাকতে অনুরোধ করে।
কিন্তু প্রায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অবস্থা দেখে ওয়েলে নেমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন। সেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি চায় না পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের কথা কেউ জানুন। অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি বিধায়করা কাগজও ছিঁড়ে ফেলেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে বিধানসভার চরম অপমান বলে বিজেপি বিধায়কদের কর্মকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশনের শেষ দিনকে ‘কালো দিন’ বললেন মমতা। এই ঘটনার দু ঘণ্টার মধ্যে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপি পাঁচ বিধায়ককে।
আরও পড়ুন- ৯ বছর পর রাজ্যে এসএসসি পরীক্ষা, কী কী পদক্ষেপ?
এদিন অধিবেশন শুরু হতেই বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। শুরু হয় ধসাধস্তি। তাঁকে একাধিকবার নিজের আসনে বসতে বলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সে কথা এড়িয়ে যান তিনি। এরপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে মার্শাল ডেকে পাঠান স্পিকার। সেই সময় তাঁর আসনে শুয়ে পড়েন তিনি। বিধানসভা কক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করা হয় শঙ্কর ঘোষকে। এই কর্মকাণ্ডে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মানিকতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার সিটি স্ক্যান ও ইকো পরীক্ষা হয়। সেই রিপোর্টে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
দেখুন আরও খবর-