কলকাতা: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বারবার বিস্তর অভিযোগ ওঠে। তা সে রোগী রেফার থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর মান্নোন্নয়ের কথা সবেতেই ওঠে বিস্তর অভিযোগ। আর এই অভিযোগ সামনে আসার পর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয় জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক করতে হবে। এই নির্দেশিকার পরেও রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে আবার জেলেই ফিরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।
এদিন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, গ্রামের মানুষ গ্রামীণ চিকিৎসা না পেয়ে শহরের একাধিক হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন। কেন তাদের এই অব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে তীব্র ভৎসনা করেন বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীকে।
আদালত সূত্রের খবর, চন্দননগরের এক ব্যক্তি এলাকায় হাসপাতাল তৈরির জন্য ১৯৭৬ সালে ৩০ বিঘে জমি দিয়েছিলেন। অথচ সেখানে মাত্র ১০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি হয়। জমি থাকা সত্ত্বেও কেন হাসপাতাল বড় করা হচ্ছে না, এ নিয়েই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা গড়িয়েছিল। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, জমি রয়েছে, হাসপাতাল বড় আকারে হলে চিকিৎসার জন্য এলাকার মানুষকে সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে দৌড়াতে হবে না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মার্চ। আর সেদিনই রাজ্যের তরফ থেকে জানাতে হবে, কেন চন্দনগরের হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হল না।
দেখুন অন্য খবর