ওয়েব ডেস্ক: ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple) প্রণামীর পরিমাণ অনেকটাই কমল বলে জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালে তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple) মোট প্রণামীর অঙ্ক ছিল ১৩৯১ কোটি টাকা। যার তুলনায় ২০২৪ সালে অনেকটাই কমেছে প্রণামীর অঙ্ক। ২০২৪ এ ১৩৬৫ কোটি টাকা প্রণামী বাবদ তিরুপতি মন্দির অর্জন করেছে। অন্যদিকে ২০২২ সালে হুণ্ডিতে ১২৯১.৬৯ কোটি টাকা নগদ এবং সোনা, রুপো জমা পড়েছিল। যা ২০২৩ এবং ২০২৪ এর সমস্ত অঙ্ককে হার মানায়।
তিরুপতি মন্দিরে (Tirupati Temple) গিয়ে প্রত্যেক ভক্ত হুণ্ডি বা প্রণামি বাক্সে নগদ সোনা ,রুপো, এমনকি টাকা সেখানে দান করেন পুন্যার্থীরা। বছরের প্রথমে এই প্রণামি বাক্স নতুন পরাকামণি মন্দিরে নিয়ে আনা হয়। আর সেখানেই প্রণামী বাক্স খুলে গোনা হয় কত অংকের টাকা সেই প্রণামী বাক্সে প্রতিবছর ভক্তরা জমা করেন। যেই সোনা, রুপো পুণ্যার্থীরা দান করেন তা আলাদা করে প্রত্যেক মাসে বিশেষ একটি লকারে রেখে দেওয়া হয়। বছর শেষে সেটি টিটিডির কোষাগাড়ে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ছড়িয়ে পড়ছে এইচএমপিভি ভাইরাস! চীনের পর হংকং, সতর্কতা জারি কেরলে
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে তিরুপতি মন্দির (Tirupati Temple) দর্শন করেন ২ কোটি ৫৫ লক্ষ ভক্ত। যার মধ্যে ৯৯ লক্ষ মানুষ দান হিসেবে চুলদান করেন। এমনকি তিরুপতি মন্দির চত্বর থেকে ১২ কোটি ১৪ লক্ষ লাড্ডু বিক্রি করা হয়। ৬ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করেন।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে টিটিডি তিরুপতি মন্দিরের বাজেটে ৫১৪১.৭৪ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছিল। কর্মীদের বেতন, ভাতা দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১,৭৭৩ কোটি টাকা। মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৩৫০ কোটি টাকা। হিন্দু ধর্ম প্রচার পরিষদের প্রকল্পের জন্য ১০৮.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। টিটিডির অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১১৩.৫০ কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তহবিলে মন্দিরের তরফে দেওয়া হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে পাশা থাকার জন্য এই টাকা দিয়েছিল টিটিডি।
দেখুন অন্য খবর