ওয়েব ডেস্ক: চীনে (China) উদয় হয়েছে নতুন একটি ভাইরাস! আর যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে আতঙ্ক। তবে কি আবার করোনার মতো পরিস্থিতি হতে চলেছে? আবারও কি লকডাউনের (Lockdown) মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে? এই নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, ঠিক সেই মুহূর্তে জানা যাচ্ছে হংকংয়েও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই সেখানে জারি হয়েছে সতর্কতা। আরে উদ্বেগের মাঝে ভারতের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা দুই দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। ইতিমধ্যেই কেরল সরকারের (Kerala) পক্ষ থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সর্তকতা অবলম্বনের জন্য আবারও মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যদিও ‘ ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ‘ (National Centre For Disease Control) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনই চীনে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি (HMPV Virus) নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। তবুও মানুষের মনে যাতে আতঙ্ক না প্রবেশ করে এবং নিজেদেরকে সুস্থ রাখার জন্য কেরল সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। কেরল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বাড়ির বাইরে অথবা কোন জনবহুল এলাকায় যাওয়ার আগে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে। বিশেষত বয়স্ক মানুষজন এবং অন্তঃসত্ত্বাদের।
এইচএমপিভি ভাইরাস (HMPV Virus) কী ?
এইচএমপিভি বা হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV Virus) আক্রমণ করে মানুষের শ্বাস নালিতে। সাধারণত সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মত অসুবিধা হয় শরীরে।
এই ভাইরাসটি মূলত শিশু ও বয়স্কদের আক্রমণ করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারাও চট করে আক্রান্ত হয়ে যান এই ভাইরাসে। চীনের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে কিশোর-কিশোরী ও শিশুদের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়।
কীভাবে ছড়ায় এইচএমপিভি ভাইরাস ?
চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাস দেহে প্রবেশ করার পর, শ্বাসপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক দেহ থেকে অন্য দেহে প্রবেশ করে।
এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রতিরোধ কীভাবে?
ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিচিত পদ্ধতিই মানতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। পাতে রাখতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোয় সাহায্যকারী ডায়েট। এইচএমপিভি-র এখনও পর্যন্ত নির্দিশষ্ট কোনও প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তাই চটজলদি ভাইরাস-প্রতিরোধক কোনও ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
দেখুন অন্য খবর