ওয়েব ডেস্ক : শিক্ষা দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় আদালতের একের পর এক তোপে জেরবার রাজ্য। চাকরি ফিরে পেতে রাস্তায় বসে শিক্ষকেরা। অযোগ্যদের দাগি সম্বোধন আদালতে। আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষকদের পুলিশের লাথি-চড়। শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সাক্ষী বাংলার মানুষ। তবে এটাই রাজ্যের একমাত্র ছবি নয়। ব্যতিক্রমীরাও জ্বলজ্বল করছে শিক্ষার আকাশে।
পড়ানোতেই তৃপ্তি তমলুকের (Tamluk) তৃপ্তি বকসির (Tripti Bakshi)। আট বছর আগে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু ছাত্র পড়ানোর নেশা ছাড়তে পারেননি। সেই নেশাতেই এখনও রোজ স্কুলে আসেন। ছাত্র পড়ান। কোনও বিরক্তি নেই। আছে কেবল এক রাশ তৃপ্তি। তমলুকের খোস্টিকরি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হিসাবে ২০১৮ সালে অবসর নিয়েছিলেন তৃপ্তি বকসি।
আরও খবর : এক দিনের আয়ে শুরু, এখনও চলছে বাঁকুড়ার মুখার্জী বাড়ির দুর্গাপুজো
কিন্তু পড়ুয়া ও সহকর্মীরা ছাড়তে চাননি তাঁকে। তাঁদের কথা রাখতেই স্কুলে আসা বন্ধ করেননি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। তবে কোনও বেতনের বিনিময়ে নয়। জীবনে খুদেদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর মধ্যেই খুঁজে পান পারিশ্রমিক। তমলুকের খোস্টিকরি স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ১১৭। শিক্ষক চার জন। প্রি প্রাইমারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। স্কুলের অন্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে এখনো বাচ্চাদের নিরলসভাবে পড়িয়ে চলেছেন তৃপ্তিদেবী।
এখনও প্রতি দিন সকাল ১০টার মধ্যে স্কুলে চলে আসেন। স্কুল ছাড়েন বিকেল ৪টায় বাড়ি যান। সর্বসাকুল্যে ১১ দিন ছুটি নিয়েছেন শিক্ষকতার জীবনে। চাকরি থেকে অবসরের পরেও সেই বজায় থেকেছে সেই অভ্যাস। শিক্ষার বর্তমান ক্ষয়াটে জগতে তমলুকের তৃপ্তি বকসি যে অনন্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শিক্ষার আকাশে তিনি যে সত্যিই এক জ্যোতিষ্ক, মানছেন সকলেই।
দেখুন অন্য খবর :