ওয়েব ডেস্ক: ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে উল্টে ধর্ষককেই (Rapist) বিয়ে করতে বাধ্য হন এক তরুণী। পুলিশকর্মীদের (Police) পরামর্শেই এই সম্পন্ন হয় বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পরেও একইভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলে তরুণীর উপর। শেষমেশ ফের থানার দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা। আর এবার নড়েচড়ে বসল পুলিশ প্রশাসন। যোগীরাজ্যের (Uttar Pradesh) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ল দেশজুড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সাজিদ আলি (৩৫) নিজের পাড়ার ১৯ বছরের এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনা ভিডিয়ো করে নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেলও করতেন তিনি। ভয় এবং অপমানের কারণে দীর্ঘদিন চুপ ছিলেন নির্যাতিতা। তবে একাধিক ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। সেপ্টেম্বরে বাবা-মাকে নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান তিনি।
আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং, তরুণীর গর্ভাবস্থা দেখিয়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তাঁকে সাজিদের সঙ্গে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। পুলিশের এই পরামর্শ মেনে শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বর মাসে ধর্ষকের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পরই তরুণী জানতে পারেন, সাজিদ আগেই বিবাহিত এবং তাঁর স্ত্রী অন্যত্র থাকেন। এরপর থেকে তরুণী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। অক্টোবর মাসে তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন।
বিয়ের আগে এবং পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতা। জানুয়ারির ৩ তারিখ ফের পুলিশের কাছে সাহায্য চান তিনি। এবার ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ধর্ষণের অভিযোগে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা না নেওয়া এবং এক চরম অমানবিক পরামর্শ দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
দেখুন আরও খবর: