ওয়েব ডেস্ক : ভেস্তে গেল রক তারকা জেমস (James Concert) ও তাঁর ব্যান্ডের অনুষ্ঠান। শুক্রবার বাংলাদেশের (Bangladesh) ফরিদপুর জেলা বিদ্যালয়ের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও, হামলার কারণে সেই কনসার্ট বাতিল হয় বলে খবর। আর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)।
ভিডিয়ো শেয়ার করে তসলিমা (Taslima Nasrin) জানান, “ফরিদপুর জিলা স্কুলে জেমসের প্রোগ্রাম পণ্ড হলো। জেমসকে গান গাইতে দেবে না তৌহিদী জনতা। দেশে ছায়ানট থাকবে না, উদীচী থাকবে না, বাউল থাকবে না, নগর বাউল থাকবে না, তবলা হারমোনিয়াম গিটার থাকবে না। সুর থাকবে, সে শুধু আজানের সুর। আর কোনও সুর নয়। জিহাদিদের সাফ কথা। মানলে ভাল। না মানলে মুণ্ডু যাবে।” শেষে তিনি লিখেছেন,
“জিহাদিস্থানে গান নিষিদ্ধ।”
আরও খবর : ক্যানসার চিকিৎসায় দিশা দেখাল জাপানের গেছো ব্যাঙ! দাবি গবেষকদের
এর পাশাপাশি তসলিমা (Taslima Nasrin) লিখেছেন, “সংস্কৃতি ভবন ছায়ানট পুড়ে ছাই। গান, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি এবং লোকজ সংস্কৃতির প্রসারের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চেতনা বিকাশের জন্য গড়ে ওঠা সংগঠন উদীচী পুড়ে ছাই। আজ বিখ্যাত গায়ক জেমসকে অনুষ্ঠানে গান গাইতে দেয়নি জিহাদিরা। কিছুদিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন সিরাজ আলী খান। তিনি বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ছেলে আলী আকবর খানের নাতি। সিরাজ আলী খানও মাইহার ঘরানার সংগীতের একজন খ্যাতিমান শিল্পী। সিরাজ আলী খান ঢাকায় এসে অনুষ্ঠান না করেই ভারতে ফিরে গিয়েছেন। বলেছেন শিল্পী, সংগীত এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে আর আসবেন না। দু’দিন আগে ওস্তাদ রশীদ খানের ছেলে আরমান খানও ঢাকার আমন্ত্রণ রক্ষা করেননি, তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন সংগীতবিদ্বেষী জিহাদি অধ্যুষিত বাংলাদেশে তিনি পা রাখতে চান না।”
শুক্রবারের এই ঘটনা নিয়ে আয়োজকদের দাবি, বহিরাগতরা অনুষ্ঠান দেখার জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। এর পরেই নাকি, বহিরাগতরা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মঞ্চ দখল করারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অন্তত ১৫ জন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে খবর। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করলেন তসলিমা।
দেখুন অন্য খবর :







