স্পোর্টস ডেস্ক: ৯০ মিনিটের বাঁশি বাজার ঠিক আগের মুহূর্তে অনবদ্য সেভ করে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) হারের থেকে বাঁচান গোলকিপার প্রভসুখন গিল। গোটা ম্যাচেও একাধিকবার সাহসী গোলকিপিং করেন তিনি। কিন্তু টাইব্রেকারে তাঁকে সরিয়ে দেবজিৎ মজুমদারকে নামান লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোন (Oscar Bruzon)। নিঃসন্দেহে ভীষণ বড় সিদ্ধান্ত।
দেবজিৎ ‘সেভজিৎ’ হয়ে উঠতে পারলে ব্রুজোনকে নিয়ে নাচানাচি হত। কিন্তু তা তো হয়নি, কাজেই আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) কাছে ইস্টবেঙ্গলের টাইব্রেকারে হারের সিংহভাগ দায় কোচের উপরেই বর্তায়। গোটা ম্যাচ ভালো খেলা আত্মবিশ্বাসী গিলকে কেন মোক্ষম সময়ে বসানো হল, তা নিয়ে সমর্থকরা প্রশ্ন কিন্তু তুলবেনই। বরং টাইব্রেকারে জয় গুপ্তার দুর্বল শট বাঁচিয়ে নায়ক মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কেইথ।
আরও পড়ুন: পার্থ ম্যাচে ভারতের সম্ভাব্য একাদশ কী? দেখে নিন
সমালোচিত হতে পারতেন বাগান কোচ হোসে মোলিনাও (Jose Molina)। ম্যাচের শুরুর দিকে পেনাল্টি মিস করা জেসন কামিন্সকে হাফটাইমের পর তুলে নিলেন। অথচ দুই ফরোয়ার্ডের মধ্যে ভালো খেলছিলেন কামিন্সই। বরং খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ম্যাকলারেনকে। তাঁকে এক্সট্রা টাইমের হাফটাইম পর্যন্ত মাঠে রাখলেন মোলিনা। তারপর নামালেন দিমিত্রি পেত্রাতসকে।
ম্যাচে তুলমূল্য লড়াই হয়েছে। দুই দলই সুযোগ তৈরি করেছে, আবার খারাপও খেলেছে। আইএফএ শিল্ডে কলকাতা ডার্বি মানেই ইস্টবেঙ্গল, এই ‘জিনক্স’ কিন্তু আজ কেটে গেল। একই সঙ্গে সবুজ-মেরুনের থমথমে পরিবারে দীপাবলির আলো ঢুকল। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-তে খেলতে না যাওয়া নিয়ে দিমির সঙ্গে সমর্থকদের ঝামেলা বেঁধেছিল। এক সময়ের নয়নের মণি অনেকের বিরাগভাজন হয়ে পড়েছিলেন। তুমুল সমালোচিত হচ্ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষ। শনিবারের শিল্ড জয় আপাতত কিছুটা আনন্দ বয়ে আনবে। দীপাবলির উৎসব খুশি মনে পালন করতে পারবে সবুজ-মেরুন জনতা।
দেখুন অন্য খবর: