ওয়েব ডেস্ক: বাইশ গজে বিষ্ময়ের আরেক নাম শচীন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। তাঁকে ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ (God of Cricket) তকমাও দেওয়া হয়। মহান অজি ক্রিকেটার ম্যাথু হেডেন একবার বলেছিলেন, “আমি ইশ্বরকে দেখেছি, তিনি ভারতের হয়ে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন।” তাই এটা এখনও অনেককে বিষ্মিত করে যে, শচীন কীভাবে দীর্ঘ ক্রিকেটে ‘রাজ’ করলেন। এবার সেই গোপন তথ্য জানিয়ে দিলেন তিনি নিজেই।
১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শচীন তেন্ডুলকরের। মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের মতো দলের সামনে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি। কিন্তু শুরু থেকেই বাইশ গজে শচীনের সাহস এবং দাপট দেখা গিয়েছিল। নিখুঁত কৌশল থেকে শুরু করে আক্রমণাত্মক মনোভাব-সবতাই ছিল শচীনের মধ্যে। কিন্তু এত কম বয়সে এত নিখুঁত ক্রিকেট (Cricket) তিনি খেলতেন কীভাবে? আসলে এর নেপথ্যে রয়েছে ‘লিটল মাস্টার’-এর কঠিন অধ্যাবসায়।
আরও পড়ুন: ক্যাপ্টেন রোহিত, ICC-র বর্ষসেরা তালিকায় ভারতের ৪ ক্রিকেটার
সম্প্রতি, একটি স্পোর্টস প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শচীন জানান, তিনি প্রথমে রবার বলে অনুশীলন করতেন। তারপর টেনিস বলে খেলা শুরু করেন ছোট্ট শচীন। শেষমেষ তিনি ডিউস বলে অনুশীলন করা শুরু করেন। সব ধরণের বলে খেলার ফলে বলের গতিবিধি বুঝতে খুব বেশিদিন সময় লাগেনি তাঁর। তাই হয়তো এত নিখুঁতভাবে স্ট্রেইট-ড্রাইভ থেকে আপার-কাট, সব ধরণের শট তিনি খেলতেন হাত খুলে। বলের সুইং বুঝতেও অন্যান্য ব্যাটারের থেকে শচীন থাকতেন একধাপ এগিয়ে।
তবে শচীনের আসল সিক্রেট হল দু’হাতে ব্যাটিং করার অভ্যাস। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি ডান এবং বাম- দুই হাতেই ব্যাটিং অনুশীলন করতাম। এতে সব ধরণের শট খেলতে সুবিধা হত।” আধুনিক ক্রিকেটে রিভার্স-শট খেলার ট্রেন্ড বেড়েছে। কিন্তু শচীন অনেক আগেই দেখিয়ে দিয়েছেন আধুনিক ক্রিকেটের এইসব ‘টেকনিক’। তাই আর অন্য কেউ নন, শচীনকেই দেওয়া হয়েছে ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ তকমা।
দেখুন আরও খবর: