নদিয়া: শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার কল্যাণী (Kalyani Blast) রথতলা শহীদ পল্লীতে একটি বাজি কারখানায় ঘটে বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একজন, যিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়েছে গোটা কারখানাটি। প্রশাসনের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ (Police) ও দমকল বাহিনী। শুক্রবারই ফরেনসিক বিভাগের তিন সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করে। শনিবার সকালে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের (CID Bomb Disposal Squad) চারজনের একটি প্রতিনিধি দলও তদন্তে নামে। বিস্ফোরণের কারণ বিশদে জানার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দালালের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ, নদিয়ায় ধৃত ৪ বাংলাদেশি
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া চকলেট বোমাগুলিকে দমকল কর্মীরা জল দিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছেন। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বাজির ভেতরে থাকা রাসায়নিকের কারণেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটা বেড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত তা শোনা যায়। ঘটনাস্থল থেকে চারজনের ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতরা হলেন ভারতী চৌধুরী (৬০), রুমা সোনার (৩৫), অঞ্জলি বিশ্বাস (৬০) ও দুর্গা সাহা (৪০)। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উজ্জ্বলা ভুঁইয়া (৪০)। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানা চালু ছিল। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
দেখুন আরও খবর: